নাটোর নিউজ সিংড়া: সিংড়া উপজেলার চামারী ইউনিয়নের মহিষমারী চক বলরামপুর গ্রামের বাসিন্দা গৃহবধু জেসমিন আকতার একজন সফল নারী উদ্যোক্তা।
স্বামী স্কুল শিক্ষক ওছমান গণি ও কলেজ পড়–য়া ২ মেয়েকে নিয়ে সংসার তাঁর। ২বছর আগে নিজ বাড়িতে কেঁচো খামার থেকে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসাবে পরিচিত লাভ করেছেন জেসমিন। এবার বরই চাষে অধিক লাভবান হয়ে সফল হয়েছেন তিনি। নিজের ৫০শতাংশ বরই বাগানে বাম্পার ফলন হয়েছে। তাঁর বাগানে ঝুলছে নারিকেল কুল,কাশ্মিরি ও বলসুন্দরী নামের উন্নত জাতের সু-স্বাদু বরই। জেসমিনের বরই বাগানের এই সফলতা এনে দিয়েছে নিজের কেঁচো খামারে উৎপাদিত ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহারে। তাঁর বাগানের বরই আকারে বড় তরতাজা ও উজ্জল রং হওয়ায় সবার নজর কাড়ছে।
সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় বরই চাষী জেসমিনের সাথে। জেসমিন জানায়, আজ থেকে ১০ মাস আগে নিজের ৫০শতাংশ জমিতে বরই বাগানের উদ্যোগ নেন তিনি। বরই গাছের চারা, শ্রমিক, বেড়া সহ এপর্যন্ত তাঁর মোট খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। বরই গাছের চারা রোপণের মাত্র ৭ মাসেই বরই পেকে বিক্রির উপযোগী হওয়ায় বাগানের সব গুলো বরই পাইকারদের কাছে বিক্রয় করেছেন ১লাখ ৫০ হাজার টাকায়। খরচ বাদে তাঁর আয় হয়েছে ১লাখ ২০ হাজার টাকা। জেসমিন বলেন, নিজ খামারের কেঁচো সারের কারনে অন্যান্য সারের পরিমান কম হয়েছে। এ হিসাবে খরচটাও কম হয়েছে তাঁর বাগানে। আগামী বছরে বেড়া ও বরই গাছের চারা বাবদ খরচ লাগবে না। তাই আগামী বছরে এই বাগান থেকে লাভের অংকটাও বেশি পাবেন বলে আশা করছেন জেসমিন। বরই চাষে জেসমিনের এই সফলতা দেখে স্থানীয়রা অনেকেই বাণিজ্যিক ভাবে বরই চাষে এগিয়ে আসছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ সেলিম রেজা বলেন, উপজেলায় ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনে প্রথম নারী উদ্যোক্তা জেসমিন আকতার। ভার্মি কম্পোস্টের পাশাপাশি তিনি বরই চাষেও সফল হয়েছেন। আমরা কৃষি বিভাগ একজন নারী কৃষক হিসাবে জেসমিনকে ভার্মি কম্পোস্ট ও ফলবাগানের উপর প্রশিক্ষণ দিয়েছি। জেসমিনের দেখা দেখি অনেক নারী কৃষক উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। আমরা কৃষকদের পাশে থেকে সব ধরনের পরার্মশ ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। কৃষকদের মাঝে দিন দিন পরিবেশ বান্ধব ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহারের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এই সার ব্যবহারে রোগ বালাই কমে এবং ফলনও বাড়ে তার দৃষ্টান্ত বরই চাষী জেসমি