নাটোর নিউজ: নাটোরের বড়াইগ্রামে এক যুবকের লিঙ্গ কর্তন করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ মুন্নী বেগম (২৪) নামের এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার জলশুকা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। সে উপজেলার উপলশহর গ্রামের আব্দুল গফুরের স্ত্রী।
থানা সুত্রে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার সোনাপুর গ্রামের বিরাজ উদ্দিনের পুত্র জহুরুল ইসলাম (৩৫) এর লিঙ্গ ধারালো ছুরি দিয়ে কর্তন করে ওই নারী। ওই রাতেই তাকে প্রথমে বড়াইগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মুন্নী বেগমের মা গুলজান বেওয়া জানান, প্রতিবেশী জহুরুল ইসলাম একজন মাদকাসক্ত। দাম্পত্য কলহের কারণে মুন্নী তার স্বামীর সংসার ছেড়ে আমার বাড়িতে থাকতে শুরু করলে সে প্রায়ই আমার মেয়েকে বাজে প্রস্তাব দিতো। তার নিয়মিত উত্যক্তে বিরক্ত হয়ে পড়ে মুন্নী। সোমবার রাতে বাড়িতে এসে আমার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিলে এতে প্রতিবাদ করে সে। এ সময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে জহুরুলের বিশেষ অঙ্গে ধারালো ছুরির আঘাত লাগলে তা কর্তন হয়।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, এ ব্যাপারে জহুরুলের বাবা বাদী হয়ে হত্যার চেষ্টা অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, মুন্নী বেগম ও জহুরুল ইসলাম পূর্বপরিচিত। সোমবার রাতে জহুরুল ইসলামকে মুন্নী মোবাইল ফোনে তার বাবার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে কৌশলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জহুরুলের বিশেষ অঙ্গ কেটে দেন এবং হত্যার চেষ্টা করে। অভিযোগ ও মামলার ভিত্তিতে মুন্নী বেগমকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।