মেসেঞ্জার ইনবক্স হইতে সাবধান-
চঞ্চল কুমার ভৌমিক
ইনবক্স খুব স্পর্শকাতর জায়গা, বিশেষ করে নারীদের। বিভিন্ন সময়ে নানান অভিযোগ আসে তাদের কাছ থেকে। প্রথম প্রথম ফেসবুকে আসার পর অনেকেই দেখি ইনবক্সে আসে, নানান অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলে। আমি বিরক্ত হই। অনেকে গালাগালি দিয়ে আমাকে ব্লক করে চলে যায়। বেশীরভাগ তরুণ, তরুণীদের সারাদিন মোবাইলে দেখে ভাববেন না তারা ফেসবুকে আছে, তারা ইনবক্স এক্সপার্ট। ইনবক্সে সারাদিন আছে, মায়ে বলে আমার ছেলেটা সারাদিন ফেসবুকে থাকে। অবশ্য তার একটাও স্ট্যাটাস নাই। যাহোক ইনবক্স নিয়ে একটু কথা বলি। প্রায়ই দেখা যায় অনেকে স্ক্রিনশট দিয়ে কারো ভণ্ডামি ফাঁস করে দিচ্ছে। যারটা দিচ্ছে তাকে আপনার ফেরেস্তাতূল্য মনে হতো আগে। বিষয়টা এমনই।
এমন এমন মানুষের স্ক্রিনশট মাঝে মাঝে কেউ কেউ ইনবক্সে দেয়, অবাক হয়ে যাই। এরা এমন? সমাজের উঁচুস্তরের মানুষেরা এদের মধ্যে সামিল আছে। খুব নামকরা একজন লেখকের এক অবিবাহিতা মেয়েকে দেওয়া মেসেঞ্জারের স্ক্রিনশট দেখলাম, ঐ লেখকের ঐ মেয়ের চেয়েও বড় দুই ছেলে আছে যারা ভার্সিটিতে পড়ে। এই ইতরামিগুলো চলতেই আছে। এরা বুড়ি, ছুড়ি মানেনা, সবাইকে নোংরা মেসেজ পাঠায়, যেটা লাগার লাগুক এমন মনোভাবে। আমার স্ত্রীর বেটার বৌ আসার সময় হলো, তাকেও লেখে, জবাব দাও না কেনো, মেসেজের জবাব দিতে হয়, এটা ভদ্রতা। হায়রে ভদ্র।
যাহোক আমার একটা মেসেজ সংক্রান্ত বিব্রতকর অবস্থার বিবরণ দিয়ে শেষ করি, মহিলা বেশ জ্ঞানী মনে হলো। প্রথম দিনেই তিনি ইনবক্সে গান সংক্রান্ত জ্ঞান দিলেন। ভালোই মনে হলো। বিবাহিতা। শিক্ষিত মানুষ। এরমধ্যে তিনি আমাকে নানা বানিয়ে ফেললেন। একদিন ঢাকা থেকে ফিরছি বাসে। রাত একটার দিকে ফেসবুকে ওপেন করেছি, জার্নিতে ঘুম আসছে না। নাতনী এলেন ইনবক্সে। কথায় কথায় বললাম, আপনার প্রোফাইলের ছবিতো ফেক, আসল ছবিতো দেখালেন না? তিনি তাৎক্ষণিক ছবি পাঠালেন। যাইহোক সম্পর্ক ঐটুকুই। এরপর আমার বৌ ফেসবুক খুলল, আমার বন্ধুরাই বেশীরভাগ তার বন্ধু। তিনিও হলেন। এবং আমার সব স্ক্রিনশট বৌকে পাঠালেন। বোঝেন আমার অবস্থা।
তো যেটা বলছিলাম, ইনবক্সে নোংরামিটা বাদ দেন আর যারা একটু বোকাসোকা তারা সতর্ক হন। ইনবক্সে কোনো আবেগ দেখাবেন না, পরে মাথার চুল ছিড়েও কাজ হবেনা।