আমার পেশা আমার ভালোবাসা, সকল পেশাজীবী মাথা উঁচু করে বাঁচুক – আবরার শাঈর
‘মানুষ বাঁচে তার কর্মে ‘ কে কোন পেশায় থেকে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায় সেটাও পরিমাপ হয় তার যশ খ্যাতি দিয়ে। নরেন্দ্র মোদি চা ওয়ালা ছিলেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রীও হয়েছেন দুবার। সুতরাং কে কোন পেশার? সেটি ছোট না বড়? পরিমাপের সুযোগ যেমন নেই তেমনি তাচ্ছিল্য করাটিও ভদ্রোচিত নয়।
আপনি হয়তো পদচারি সেতুর পাশে বসে থাকা মুচি কে সম্মান করেন না কিন্তু এপেক্স কোম্পানীর একজন জেষ্ঠ পাদুকা ডিজাইনারের সাথে সম্পর্ক রয়েছে বলে গর্ব বোধ করতে পারেন, শো রুমে মূল্যছাড় পেতে পারেন। কিন্তু দিনশেষে মাঝপথে পাদুকা ছিড়ে গেলে ঐ মুচিকেই আপনার মনে পড়বে। দুজনের কাজও কিন্ত একই বিষয়েই।
আমার দাদা কখনও চাকরি করেন নি। বেশ কিছু জমি জমার মালিক ছিলেন। বাড়িতে বহু মানুষ কাজ করতেন, আসতেন যেতেন নানা গৃহস্থ কাজে। কাওকে ছোট করে তাচ্ছিল্য করতে দেখিনি। বরং রাখাল থেকে শুরু করে ক্ষৌরকার, চর্মকার বাড়িতে এলে তাকে বসিয়ে জল খাবার, মুড়ি মুড়কি খেতে দেয়ার রেওয়াজ দেখেছি।
অতীতে জায়গির থাকার চল ছিলো পড়াশোনা করার জন্য। আমি নিজেও রাজশাহীতে ফুপুদের বাসায় থেকে পড়াশোনা করেছি। আমার ছোটফুপু বলতেন, জীবনে যা করতে চাও (জীবিকার জন্য) সেটাই মন দিয়ে করতে হবে। নইলে টিকে থাকা সম্ভব নয়। আমি মনে করি যে কাজটা আমি করছি ভালোবেসে করছি। ফলে আমার পেশা আমার ভালোবাসাও বটে। সে ছোট হোক বড় হোক আমার পেশায় আমি খুশি।
আপনি কি করছেন? ভালো না খারাপ, উপার্জন বৈধ না অবৈধ? এর বিচারক আপনি নিজে। দুনিয়ার সকল পেশাজীবী ভালো থাকুক, মাথা উচুঁ করে বাঁচুক।