সুহাসিনী
দেবাশীষ সরকার
সুহাসিনী, তোমাকে ছেড়ে যেতে পারলাম না শেষ পর্যন্ত। অন্ধকারে ডুবে যেতে যেতে উপলব্ধির উন্নয়নশীল প্রতিশ্রুত ভাবনা মনোজগতে ছড়িয়ে পড়ল দ্রুত। ভালোবাসার নতুন চিত্রকরের কাছে নতুন পাঠ নেবো বলে জন্ম নিলাম আবার নতুন করে। তোমার পতনের এতো নিরব নিঃস্তব্ধ বিন্যাস হৃদয়ের তরুন হাড়-গোড় এতোটুকুও পারেনি বুঝতে। এরই মধ্যে ঝুপ ঝুপ করে বয়ে গেছে কয়েক পশলা বৃষ্টি, তারাও এখন নিঃশব্দ, দূর থেকে ভেসে আসছে শুধু সমুদ্রের একটানা গোঙ্গানোর সুর। ঘন কালো অন্ধকারের মধ্যেও ফুটে উঠছে আধাঁরের উৎকন্ঠিত অপরূপ আলো, সে আলোয় নতুন পথ চিনতে এই পথিকের হয়তো কষ্ট হবে তবু ঠিক একদিন পৌঁছে যাবো লক্ষ্যের সীমান্তে। তখন তুমিও আসবে বরণ ডালা হাতে আমায় বরণ করতে। আমিতো কলমিলতার বাগানে শুয়ে থেকে বৃষ্টি দেখবো, আমি তোমার সিংহাসনের জন্য প্রাণ বিলিয়ে দেবো রাজপথে, আমি রক্তের পিপাসায় হত্যার শস্যখেতে শতশত মৃতদেহ বুনে দেবো। সুহাসিনী, তুমি পড়ে থাকো নারকেল দুধ দিয়ে ডিম, চিংড়ি পালং, ভুনা মাংস, ঘনদুধে লাউয়ের সেমাই, সরষে ইলিশ, মাথাধরায় প্যারাসিটামল আর মিথ্যে স্বপ্নের আবেগে অনন্তকাল………….