মায়ার বাঁধন
প্রদীপ কুমার পাল
জগতে সকলি মিথ্যা সব মায়াময়।
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয়।
সবাই সরলভাবে দেখিবে যা কিছু।
সে আপন লেজুড় জড়িয়ে তার পিছু।
আদি অন্ত এ সংসারে-নিখিল দুঃখের।
অন্ত আছে কি না আছে, সুখ বুভুক্ষের।
অনন্ত-জগৎ-ভরা যত দুঃখ শোক।
অখিল ক্রন্দন-হাসি আঁধার-আলোক।
জন্মাবধি যা পেয়েছি সুখদুঃখভার।
যেখানে এসেছি আমি,আমি সেথাকার।।
দেখে মোর মর্ম-মাঝে বড়ো ব্যথা জাগে।
হে ধরিত্রী, স্নেহ তোর বেশী ভালোলাগে।
সকল সৌন্দর্য তোর ভরা অশ্রুজল।
তাই তোর মুখখানি বিষাদকোমল।
তোমারে পুজিব আমি,পরাব সিন্দুর।
বাজিবে আমার কন্ঠে বিষাদ বিধুর।
যুগ যুগান্তর ধ’রে পশু পক্ষী প্রাণী।
বিধাতার জগতের মাতৃক্রোড় মানী।
খেদ এই ক্ষণস্থায়ী তুমি: আসো যাও।
খুশি মতো; যাচকের নির্বদ্ধ এড়াও।
দুর্গম সংকেতে ডেকে,বিপ্রলব্ধ করো।
শুন্য থাকে মনের মন্দির মূর্তি ধরো।
সর্বদা জাগে না সাড়া,ভাবি মাঝে মাঝে।
তুমি স্বপ্ন,ধ্রুব সত্য প্রপঞ্চে বিরাজে।
ঈশ্বরের অঘটন পটীয়সী শক্তি।
ছলনাপূর্ণ মোহদ্বারা অচিন্ত্য ভক্তি।
মিথ্যা ব’লে জানিয়াছ বিশ্ববসুন্ধরা।
ঈশ্বরের প্রবঞ্চনা পড়িয়াছে ধরা।
দুর্লভ জীবন;পলে পলে নব আশ।
স্তন্যতৃষ্ণা নষ্ট করি মাতৃবন্ধপাশ।।