সুমচা (সুস্থ মনের চর্চা)
শ্রীমতী মেরিন সাহেব
মানুষ শরীর চর্চা করে,জ্ঞান চর্চা করে, রূপ চর্চা করে, এরকম আরো অনেক কিছুর চর্চা আছে যেমন রাজনৈতিক চর্চা,পেশা জীবনে নিজেকে প্রতিনিয়ত উদ্যমী করার চর্চা, সুন্দর মনের চর্চাও তেমন একটা চর্চা, যা শুধু একদিনেই হয় না যে আজ করলাম কাল ছেড়ে দিলেম, ব্যাস। জন্মিলেই মানুষ হওয়া যায়, তা শুধু আকারে কিন্তু প্রকৃত মানুষ হতে প্রতিদিন, প্রতিক্ষণে, প্রতিকাজে, কথায়, ভাষায়, আচরণে, ভালো কাজে, পরোপকারের চর্চাটা চালিয়ে যেতে হবে। বুঝলাম আপনি দেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী,অফিসের সিইও, অথবা আরো বড় কিছু, আপনি দেখতে বিশ্বসুন্দরী, আপনি অনেক ভালো গান করেন, ছবি আঁকেন আপনার অনেক গুণ, কিংবা আপনি অনেক ভালো ঘরে, উচ্চ বংশীয় পরিবারে জন্মেছেন। তাতে কার বাবার কি? যা আপনি তা একান্তই আপনার। আপনার ব্যবহার, আপনার রূঢ় কথা, আপনার গলার আওয়াজ এর শব্দ কম্পন, আপনার বাঁকা চাহুনি যদি অন্যের বুকে বেদনার আর্তনাদ জাগায় তবে আপনি শুধু আপনার কাছেই ‘ দি বেস্ট’। সুন্দর মানুষ সে, যে তার প্রতিদিন এর প্রার্থনায় নিজের ভুল শোধরানোর জন্য দোয়া করে, সুন্দর মানুষ সে, যে তার দিনের শুরুতে আয়নার সামনে নিজেকে সাজাতে সাজাতে ভাবে, আমি আমার আশপাশের সবকিছু যেন সাজিয়ে রাখতে পারি আমার কাজে, কর্মে, আমার ব্যবহারে। নামায পড়েন নামাযে মোনাজাত শেষে একটু বসুন ৫ মিনিট, জায়নামাজ এ বসে ভাবুন তো আপনার আল্লাহ আপনার সামনে বাংলায় নিজের ভাষায় কথা বলুন আল্লাহর সাথে , তিনি কি বলেছেন আর আপনি কি করছেন?? ¿?? আপনার মাস্টার্স পর্যন্ত যে কয়টা ডিগ্রি রাষ্ট্রের কাছ থেকে নিয়েছন, কি শিখেছেন? আর তার কতোটা প্রয়োগ করছেন বাস্তব জীবনে। আপনার এই সার্টিফিকেট, এইগুলা শুধুই কাগজ। আপনি যদি আপনার গলার আওয়াজ টিভির ভলিউম এর মতো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন তবে আপনি আর চিড়িয়াখানার জন্তু এক। আপিনি যদি হিংসা, ক্রোধের মুখে অন্যের ক্ষতি কামনা করেন অন্যের বিপদে হাসেন তবে আপনি পিশাচ অশুভ আত্মা। আসুন মানুষ হয়ে জন্মেছেন, কথায় কর্মে আচরণে নিজে নিজেকে বেস্ট না বলে অন্যকে আপনার প্রশংসায় বেস্ট বলার সু্যোগ করে দেই। প্রতিদিন সকালে কাজ শুরুর আগে সেই ছোট বেলার মতো ৩০/৪০ সেকেন্ড চোখ বন্ধ করে নিজেকে অটোসাজেশন বা প্রবোধ দেই, “সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি আমি যেন কারোর ক্ষতির কারণ না হই আমার জিহবা ও অন্তর ক্রোধে কাঊকে যেন জ্বলতে না হয়” এটা প্রতিদিন এর চর্চা হউক সকলের তবেই প্রকৃত মানুষ হওয়া যাবে।গলার আওয়াজ নিচে নয়তো ভোকালে এমন টান লাগবে যে আওয়াজ না বাতাস বের হবে।