কনডম
বিপুল অধিকারী
যখন ছোট ছিলাম,
এখনকার মত নানা বর্ণের বেলুন সহজলভ্য ছিল না;
ফলত, সত্যি বলতে কি, লুকিয়ে লুকিয়ে কনডমকেই মুখের বাতাসে ফুলিয়ে শূন্যে ছুঁড়ে ফের লুফে নেবার খেলাটা খেলতাম।
এত সুন্দর একটা খেলা কেন যে লুকিয়ে খেলতে হতো,
আর ধরা পড়ে গেলে কেন যে বড়দের ধমক অথবা দাবড়ানি খেতে হতো–সে রহস্যখানা যত বড় হয়েছি তত বুঝতে পেরেছি।
আরও বড় আশ্চর্য এই, কনডমই প্রথম চুরি করার মন্তর শিখিয়েছে, এমনও হয়েছে বিছানার তলায় কনডম খুঁজে না পেলে কারো ততোধিক গোপনে জমানো আধুলি-সিকির দিকে হাত বাড়াতে হয়েছে, কেননা, পয়সা ফেললেই ইনিয়ে বিনিয়ে
পাড়ার মুদির দোকানে কনডম মিলানো যেত,
তারপর ভোঁ দৌড়।
কী লোমহর্ষক আর দুর্ধর্ষ দিনই না ছিল সে সব!
রহস্যে ঘেরা।
এরপর অবশ্য যত দিন গেছে,
কনডম থেকে মন ঘুরিয়ে অন্য খেলার দিকে চোখ পড়েছে,
সে-ও গোপনে গোপনে;
বড় আনন্দময় সে আবিষ্কার, সে নিষিদ্ধের অলিগলি।
আফসোস, এখনকার বাচ্চারা এই মজাটা পেলো না;
সহজলভ্যতা আমাদের বাচ্চাদের জীবন থেকে অনেক আনন্দ কেড়ে নিয়েছে, বড় বেশি পানসে করে দিয়েছে।
তাদের জীবনে কোন রহস্য নেই, আবিষ্কার নেই!
কোন গোপনতা নেই!!
সব খোল্লামখোল্লা