নাটোর নিউজ বড়াইগ্রাম: নাটোরের বড়াইগ্রামে ভুয়া পরিচয় দিয়ে প্রেম তারপর বিয়ে করে প্রেমিক উধাও এর ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার গোয়ালফা গ্রামে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই মেয়ে জানায়, গত দুই মাস ধরে উপজেলার ০২নং বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের খাকশা গ্রামের খেজের আলির ছেলে রুবেল হোসেনের (২৫) সাথে তার মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বৃহষ্প্রতিবার রুবেল তার সাথে বনপাড়া বাজারে দেখা করে বিয়ের কথা বলে গোয়ালফা গ্রামে তার দুলাভাই সবদুল ব্যাপারির ছেলে ফরিদুলের বাসায় নিয়ে যায়।সেখানে বিয়ে করে ভুক্তভোগী মেয়েটির সাথে রুবেল শারিরীক সম্পর্ক করে।পরে রুবেল তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাবার কথা বলে বনপাড়া এসে ফোন বন্ধ করে পালিয়ে যায়।এরপর থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে মেয়েটি গত শনিবার রুবেলের গোয়ালফা গ্রামে সেই দুলাভাই ফরিদুলের বাড়ি খুঁজে পায়।
গত রবিবার সে দুলাভাই ফরিদুলের বাড়িতে গিয়ে উঠলে রুবেলের আসল ঠিকানা পাওয়া যায়।ফরিদুল তাকে রুবেলের বাড়িতে নিয়ে যাবার কথা বলে সেদিন রাতে তাদের বাড়িতেই রাখে।কিন্ত পরেরদিন সকালে ভয় দেখিয়ে ফরিদুল তাকে এবং তার মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
উল্লেখ্য এই রুবেল প্রথমে মেয়েটির সাথে সজিব নামে পরিচিত হয় এবং তার বাসা নাটোর শহরে বলে জানায়। এ ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী মেয়েটি অসহায় দিনাতিপাত করছে। রুবেলের সাথে ফোনে মাঝে মাঝে কথা বললে সে না চেনার ভান করে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ফোন বন্ধ করে রাখে। প্রতারনার মাধ্যমে বিয়ে করে শারিরীক সম্পর্ক করে পালিয়ে থাকার জন্য মেয়েটি রুবেলের উপযুক্ত বিচারের দাবি জানায়।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই মেয়েটি বড়াইগ্রাম থানায় রুবেলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও দায়ের করেন।
তবে দুলাভাই ফরিদুল মেয়েটিকে নিয়ে রুবেল যে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলো সেটা স্বীকার করলেও বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে। আর অভিযুক্ত রুবেল মেয়েটির সাথে তার প্রেমের সস্পর্কের কথা স্বীকার করলেও বিয়ে করে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি এড়িয়ে যায়।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন-অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।