নাটোর নিউজ ডেস্ক: নাটোরে দুরপাল্লার বাস বন্ধ থাকা অবস্থায় পণ্যবাহী ট্রাক এবং মাইক্রো বাসে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। সোমবার দুপুরে তারা এ বিষয়ে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিলের চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ এবং পুলিশের হস্তক্ষেপে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল স্থগিত করা হয়।
নাটোরে হরিশপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে শ্রমিকদের জটলা। সেখানে অনেক শ্রমিক সংবাদকর্মীদের কাছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
ক্ষুব্ধ শ্রমীকরা জানান, সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তারা সততা এবং দূরপাল্লার বাস বন্ধ রেখেছেন। কিন্তু ঈদের আগে স্বল্প পাল্লার বাস খুলে দেয়া হলেও সেখানে যাত্রী পরিবহনে নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হয়েছে পুলিশ এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানান, আজ সকালেও গাজীপুর বিল এলাকায় মোবাইল কোর্ট বসিয়ে শ্রমিকদের জরিমানা করা হয়েছে। অথচ একটি ছোট পণ্যবাহী ট্রাকে করে অমানবিকভাবে যাত্রীরা গাদাগাদি করে ঢাকা যাচ্ছেন। পুলিশ বা প্রশাসনের লোক সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করছেন না।
টার্মিনাল এলাকায় কর্মরত পরিবহন শ্রমিক আসলাম হোসেন জানান, সরকার যদি স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে দূরপাল্লার বাস চলাচলের অনুমতি দিত তাহলে এমন গাদাগাদি করে অমানবিকভাবে যাত্রীরা ঢাকায় যেত না। বরং অল্প টাকায় তারা ঢাকা যেতে পারত।
শ্রমিক নেতা মজিবুর রহমান জানান, আমরা সব সময় সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আশা করি সরকার খুব শীঘ্রই দূরপাল্লার বাস ছেড়ে দিয়ে শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান করবেন।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, আমাদের পুলিশ সদস্যরা রাত্রিবেলা রোডে পাহারা দিচ্ছে যাতে কোনোভাবেই কোনো দূরপাল্লার বাস যাত্রী নিতে না পারে। আমরা কোনভাবেই কোনো ট্রাকে করে যাত্রী পরিবহন করতে দেবো না। আশা করছি শ্রমিকরাও সরকারি সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে মেনে চলবেন।