” প্রসঙ্গে পরীমণি “
-ডন শিকদার
পরীমণি একজন চিত্রনায়িকা, সে নাচতে নেমেছে, তার কাছে আমি ঘোমটা আশা করি না।
যারা করেন, তারা চান, পরীমণি মাথায় ঘোমটা দিয়ে পাছার কাপড় তুলে নাচুক। এতে নাচ দেখা শেষে মুখ ঘুরিয়ে নাউজুবিল্লাহ বলে পাপ কাটানো যায় বোধহয়?
পরীমণি মদ খাক, রাত বিরাতে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করুক, আইন আছে। সবচেয়ে বড় বিষয়,
” এতদিন আমরা জানি নাই কেন? “
এদিকে পুরা দেশ পরীর পেছনের গন্ধ শুকতে ব্যস্ত। আমি এর একটা ব্যাখা দাঁড় করিয়েছি তা নিম্নরূপ-
মানুষ বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষিত হয় এটাই স্বাভাবিক। তার ওপর পরীমণির মত সুন্দর হলেতো কথাই নাই। এতদিন যারা পরীমণির কথা ভেবে ভেবে হাত মেরেছেন, মূলত তারাই বেশি ক্ষেপেছেন। অথচ, তাদের উচিৎ ছিল নাসির/তার মত জনগণের ওপর ক্ষ্যাপা ( শালা, তোরা একাই খাবি… )।
এখানে সবকিছুই জলের মত স্বচ্ছ, সমাজের এক ক্ষমতাধর ব্যক্তি তার দোষ ঢাকার চেষ্টা করছেন। যা এই সমাজের নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার।
প্রশ্ন হলো,
১. ওই গভীর রাতে ভদ্রলোক নাসিরই বা ওখানে কোন বাল ফেলতে গিয়েছিলেন?
২. উনি ওখানে বসে কোন দুঃখে মদ খাচ্ছিলেন?
৩. আচ্ছা গিয়েছেন, মদ খাচ্ছিলেন ভাল কথা, পরীমণির সাথে দেখা করারই বা কি দরকার ছিল?
জাতি পরীমণিকে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় দেশের উন্নয়ন না আবার থেমে যায়