নাটোর নিউজ: একাধিক জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে “সিংড়ায় অবৈধ সৌঁতি ও বানা দিয়ে মাছ শিকার” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে আজ অভিযানে নামে উপজেলা প্রশাসন। এসময় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নদী ও বিলে ৩টি অবৈধ সৌঁতিজাল ও ৫টি বানার বেড়া অপসারণ করা হয়।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার (৩ আগষ্ট) উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম সামিরুল ইসলামের নির্দেশনায় সহকারি কমিশনার (ভূমি) রকিবুল হাসানের নেতৃত্বে উপজেলার বড়িয়া, জোলার বাতা, তাজপুর ও সারদানগর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় ৩টি অবৈধ সৌঁতিজাল ও ৫টি বানার বেড়া অপসারণ করা হয়। এ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে বলে জানায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম সামিরুল ইসলাম।
সিংড়া মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজু আহমেদ বলেন, মাছের পোনা, দেশের সোনা। এখন বর্ষাকাল, সবে মাত্র চলনবিল সহ নদী নালা, খাল বিলে পানি এসেছে। রেনু পোনা মাছ ঘুরে বেড়াচ্ছে। মা মাছ ডিম ছাড়ছে। তাদের নির্বিঘ্নে চলাচলের সুযোগ দিতে হবে। এই পোনা বড় হয়ে বংশবৃদ্ধি করবে। কিন্তুু কিছু অসাধু লোক, যারা এলাকার প্রভাব খাটিয়ে কিছু নেতাকে ম্যানেজ করে বানা দিচ্ছে। অবাধে পোনা মাছ মারছে। অন্তত ৩ মাস বানা দেয়া কিংবা মাছ নিধন বন্ধ থাকলে দেশে মাছের অভাব পড়তো না। কিন্তু আমরা তা মানিনা। খালে, বিলে, নদীতে পানি আসার সাথে সাথেই পোনা মাছ মারার প্রতিযোগিতায় নামি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
আজ সিংড়া উপজেলার কয়েকটি পয়েন্ট থেকে বানা অপসারণ ও জাল জব্দ করেছে উপজেলা মৎস্য বিভাগ এবং প্রশাসন। এর আগে বেশ কয়েকবার তারা অভিযান পরিচালনা করেছে। তবে চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী প্রবাদের মতই মৎস্য শিকারী রাঘব বোয়ালের মত তাদের লজ্বা নাই। তাই প্রশাসনের অভিযানের পর রাতারাতি আবারো বানা কিংবা জাল ফেলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
তবুও প্রশাসনকে ধন্যবাদ। তবে শুধু সাংবাদিকদের সংবাদ পরিবেশনের পর অভিযান না করে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা, বর্ষা মৌসুমে এসব তথ্যের জন্য একটি হটলাইন চালু করা প্রয়োজন বলে মনে করি। সরকারের কাছে অনুরোধ মাছ দেশের অমূল্য সম্পদ। এ সম্পদ রক্ষায় মৎস্য বিভাগে জনবল বৃদ্ধি সহ উপজেলা পর্যায়ে তাদের নিজস্ব যানবাহন অতিব প্রয়োজন। তাহলে অভিযান ত্বরান্বিত, পাশাপাশি দেশ ও জনগন সার্বিকভাবে এর সুফল পাবে। আসুন দেশের সম্পদ রক্ষায় যার যার জায়গা থেকে নিজেরাই এগিয়ে আসি, সচেতন হই, সচেতনতা গড়ে তুলি।