Homeজেলাজুড়েসিংড়ায় ঈদের আনন্দ নাই অর্ধশত কিন্ডার গার্ডেন স্কুল শিক্ষকের

সিংড়ায় ঈদের আনন্দ নাই অর্ধশত কিন্ডার গার্ডেন স্কুল শিক্ষকের

রাজু আহমেদ নাটোর নিউজ সিং ড়া :  মহামারী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে চলমান লকডাউন আর র্দীঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মাসের পর মাস ঘর ভাড়া টানতে গিয়ে বন্ধের মুখে পড়েছে নাটোরের সিংড়া উপজেলার ৫২টি কিন্ডার গার্ডেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

এসব প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮ শত শিক্ষকের অধিকাংশ পরিবারে ঈদের আনন্দ নাই। একদিকে প্রতিষ্ঠান বন্ধ, অপরদিকে করোনার কোনো সরকারি অনুদান এবং প্রনোদনা পাইনি এসব শিক্ষক।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সিংড়া পৌরসভাসহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ৫২ টি কিন্ডার গার্ডেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান গুলোর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি নিয়ে প্রতিষ্ঠানের খরচসহ শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা দেওয়া হয়।

কিন্ডার গার্ডেনের কয়েকজন পরিচালক জানায়,
গত বছর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেশব্যাপী কিন্ডার গার্ডেনসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি নিতে পারিনি। প্রতিষ্ঠানের আয়ের উৎস বন্ধ হওয়ায় বেতন ভাতা দিতে পারিনি শিক্ষক ও কর্মচারীদের। তারা আরও জানায়, শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন দিতে না পারলেও প্রতিষ্ঠানের ঘর ভাড়া দিতে হচ্ছে প্রতি মাসেই।

প্রায় ১ বছর ৪ মাস ধরে ঘর ভাড়া দিতে গিয়ে আমরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছি। এরই মধ্যে উপজেলার চৌগ্রাম আছিয়া মেমোরিয়াল কেজি স্কুল, পাটকোল মজিরন নেছা কেজি স্কুল এবং হাট তাজপুরের জিনিয়াস কেজি একাডেমি স্কুল এককালীন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঐ তিন প্রতিষ্ঠনের পরিচালকরা।

উপজেলার শেরকোল ইকরা প্রি-ক্যাডেট এন্ড জুনিয়র স্কুলের পরিচালক জিএম মোর্শেদ বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ১১জন। গত বছর স্কুল বন্ধ হওয়ার পরও প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষকদের ৩/৪মাস বেতন দিয়েছি। প্রতিমাসে ঘর ভাড়া দেই ১০ হাজার ৫’ শ টাকা। আয়ের কোন উৎস নাই। মাসে মাসে ঘর ভাড়া দিয়ে আর কতদিন এভাবে প্রতিষ্ঠান ধরে রাখবো।

আল-হেরা কেজি একাডেমি স্কুলের পরিচালক ও বাংলাদেশ কিন্ডার গার্ডেন এ্যাসেসিয়েশন সিংড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফেরদৌস আলম বলেন, উপজেলার ৪২টি কিন্ডার গার্ডেনে প্রায় সাড়ে ৩’ শ শিক্ষক কর্মচারী আছেন। র্দীঘদিন ধরে তারা বেতন ভাতা না পেয়ে কঠিন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। করোনাকালীন সময়ে আমরা সরকারী কোন প্রনোদনা পাইনি। এমতাবস্থায় এই প্রতিষ্ঠান গুলো টিকিয়ে রাখার লক্ষেই প্রতিষ্ঠানের ঘর ভাড়ার জন্য সরকারের কাছে সহযোগিতা দাবি করছি। তা না হলে বাকি প্রতিষ্ঠান গুলোও একসময় এককালীন বন্ধ হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ কিন্ডার গার্ডেন এ্যাসেসিয়েশন সিংড়া উপজেলা শাখার সভাপতি নুরুল ইসলাম জানান, করোনার কারনে কেজি স্কুল, কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে পড়ায় অধিকাংশ পরিবার কষ্টের মধ্য রয়েছে। সরকারি সাহায্য ও সহায়তা পাইনি। এজন্য ঈদের আনন্দ নাই অনেক পরিবারে।

 

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments