হাহাকার
আহ্ রে
এভাবে গরীবের রক্ত পান করতে করতে
তাদের বর্ষার গান শুনতে শুনতে
রির্জাভের নিচে চাপা পরতে পরতে
পুলিশের পাহাড়া দেখতে দেখতে
উন্নত দেশের গপ্প শুনতে শুনতে
মানুষ গুলো তালা খুলতে খুলতে
আগুন আগুন আগুন আগুনে
পুড়তে পুড়তে পুড়তে
আমাদের একটা
প্রজন্ম বাংলাদেশ হয়ে গেল।
বিকল্প ভাবনা
গরীবের খুব করে একজন ঈশ্বর লাগে,
লাগেই তো মনের কস্টের কথা বলতে।
বিচার চাইতে ঈশ্বর লাগে
বঞ্চিত হয়ে চাইতে ঈশ্বর লাগবেই।
কেন যে গরীব বোঝে না
টাকা হলে ঈশ্বর কেনা যায়,
দু বেলা রুটিন করে লাগানো ও যায়।
চিন্তার পাতা উল্টায় দেখেন
সকাল হলেই সাদা পোশাকে কতজন
ঈশ্বর রে বেইচা দিবে।
মনডারে একটু শক্ত কর ভাই
বইলা দে তোর ঈশ্বর এর টাইম নাই।
খিদার সময় ভাতের কোন বিকল্প নাই।
টাকা ছাড়া বাঁচবি তুই ভাই,
ঈশ্বরের কোন বিকল্প নাই।।
আমাদের মৃত্যু
মহাকাল মনে রাখবে না
আমাদের মৃত্যু
বড় অসময়ে জমদূত এসেছিলো নিতে
আমরা চলে গেলাম।
মহামারীর মহিমায় সংখ্যা হলাম।
মায়া ময় মৃত্যু মিছিলে আনেক অনেক মুখ
সব দর্শন বলতে চাইলো মৃত্যু সুখের আনন্দের।
মায়ার পৃথিবীতে সম্পর্ক আমাদের বেঁধে রাখলো।
আমরা পাহাড়ের বোঝা মাথায় নিলাম,
জীবনের বুক ফেটে রক্ত ঝড়লো
হৃদয়ের গহিনে চিরোদিনের খত এঁকে দিলো।
নিথর চোখ অসহায় হয়ে দেখলো
জীবন হেরে যায় পৃথীবিতে
আমাদের আর দেখা হয় না
অন্য লোকে।
মরে গেছে ডাকাতিয়া
একটা কচুরীপানা ভাসতে ভাসতে এসে
কানে কানে বললো জানো
এই গৌরব মাখা ডাকতিয়া নদীতে
আমি কত বছর ভেসেছি।
আজ ডাকতিয়া মরে গেছে তাতে কি
আমি তো গর্বিত
তাই তুমি ডাকাতিয়া।
তোমাদের শহর আর স্মৃতি
অভিশপ্ত ঐ শহরে তুমি ফিরো না
আমিও ফিরবো না
কাজের সময় কে তো আর ফেরা বলে না
আমাদের তো ঐ একটাই শহর আছে
ঢাকা
বৃস্টি দিনের গুমোট প্রেমের গল্প
স্মৃতির তৃষা মেটেনা বৃষ্টিজল এ
ভিজে যাওয়া শহরের শান্তি
শাহবাগ থেকে পরিবাগ যেতেই
তোমার একরাশ স্মৃতি জড়িয়ে ধরে আমাকে
কোথায় যে হারিয়ে যাই।
ধাধার শহরে আমি একা নিরবে
বৃস্টি আর তুমি দিয়ে জাল বুনে বেড়াই।