নাটোর নিউজ বড়াইগ্রাম : কৃষক পরিবারের সন্তান ছিলো শামীম প্রামানিক (২৫)।সংসারের অভাব অনটনের কারনে ৮ মাস আগে নাটোরের বড়াইগ্রামে মাঝগাঁও ইউনিয়নের লাথুরিয়া গ্রামের সুদি মহাজন’সেকেন্দারের’কাছে মাত্র ১০ হাজার টাকা নেন।
৮ মাসে সেই টাকা সুদ আসলে হয় ৭০ হাজার টাকা। মা-বাবা,ছোটভাই এবং চার বছর বয়সের একমাত্র শিশুকন্যার মুখে তিনবেলা খাবার জোটাতে যখন হিমশিম খেতে হয় তখন এত টাকা শোধ করবে কিভাবে?একদিকে পরিবার অন্যদিকে সুদি মহাজনের টাকার চাপ সইতে না পেরে গত ২২জুন আত্মহত্যা করেন বনপাড়া পৌরসভার আটুয়া গ্রামের কৃষক জামাল প্রামানিকের বড় ছেলে শামীম প্রামানিক। এ নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।
সেই সংবাদ নজরে আসে বড়াইগ্রামের ইউএনও জাহাঙ্গীর আলমের। সুদের টাকার চাপে আত্মহত্যাকারী সেই শামীমের পরিবারের পাশে দাঁড়ান তিনি।শামীমের চার বছরের শিশুকন্যার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে একটি ভ্যানগাড়ি তুলে দেন।
আজ রবিবার (২৭জুন) দুপুরে উপজেলা চত্বরে নিহত শামীমের বাবা জামাল প্রামানিক,তার চার বছরের মেয়ে সানজিদা ও ছোট ভাইয়ের হাতে এই ভ্যান গাড়ি তুলে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য সুদ ব্যবসায়ী সেকেন্দারের ভয়ে আটুয়া গ্রামের ১০/১২জন লোক গ্রাম ছাড়া রয়েছে।
চড়া সুদে টাকা দিয়ে ফাঁকা চেক নিয়ে বিভিন্নভাবে মামলার মাধ্যমে হয়রানির শিকার হয়েছে আরও অন্তত ১০/১৫টি পরিবার।নিহত শামীমের বাবা বাদী হয়ে সেকেন্দারের নামে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করলে গত ২৫ জুন তাকে আটক করে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ।