নাটোর নিউজ লালপুর : গত ঈদুল ফিতরে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বরাদ্দকৃত ভিজিএফ ও জিআরের নগদ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা।
সম্প্রতি “ভিজিএফের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে”- শিরোনামে জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর আজ শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে তিনি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
চেয়ারম্যান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বক্তব্যে বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে গরিব দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ৫ শত টাকা করে ৫ শত পরিবারের মাঝে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং ১ হাজার ৫ শত ৪১ টি পরিবারের জন্য ৪ শত ৫০ টাকা করে ৬ লক্ষ ৯৩ হাজার ৪ শত ৫০ টাকা বরাদ্দ আসে। সুষ্ঠুভাবে বিতরনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য ও ত্রাণ কমিটির সকল সদস্য ও মহল্লাদারের উপস্থিতিতে সভা করে ইউনিয়নের দুঃস্থ ও হতদরিদ্রদের আইডি কার্ড যাচাই-বাছাই করে তালিকা করা হয়।
এছাড়া এ তালিকাটি সরকারী ভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দ্বারা যাচাই করা হয়। তালিকা মাফিক গত ১২ মে লালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার, গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার, আব্দুলপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ হীরেন্দ্রনাথ, এএসআই মঞ্জুরুল ইসলাম, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তালিকা মাফিক বরাদ্দকৃত নগদ অর্থ বিতরন করি।
বিতরনের দিন যারা বরাদ্দকৃত অর্থ নিতে আসে নি, তাদের কয়েকজনের সাথে যোগসাজশ করে উপ-পরিচালক, ভিজিডি-২ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর বরাবর আমার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগ করায় স্থানীয় এমপি শহিদুল ইসলাম বকুল সমর্থিত কতিপয় ষড়যন্ত্রকারীরা। অর্থ প্রাপ্তির পর অভিযোগকারী মোহাম্মদ আলী, জামাত আলী ও আবু তাহের ভুল বুঝতে পেরে ১০ জুন তারিখে অভিযোগটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
কাজেই আমার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। অভিযোগকারী জামাত আলী জানান, আমার নামে বরাদ্দকৃত অর্থ পেয়ে, অভিযোগটি প্রত্যাহারের আবেদন করেছি। আমি এ ব্যাপারে আর কিছু বলতে চাই না।