১ আগস্ট থেকে দীপ্ত টিভিতে দুই বিখ্যাত ধারাবাহিক
কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের উপন্যাস অবলম্বনে ধারাবাহিক নাটক ‘আগুন পাখি‘ এবং বাংলায় ডাবিংকৃত তুরস্কের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘আমাদের গল্প‘ আসছে দীপ্ত টিভির পর্দায়।
আমাদের গল্প প্রচারিত হবে প্রতিদিন বিকাল ৫টা ৩০মিনিট ও রাত ৯টায়। আগুন পাখি প্রচারিত হবে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা ৩০মিনিট এবং পরদিন দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট।
আমাদের গল্প: এলিবোল পরিবারের হাসিমুখে দারিদ্রকে মেনে নেবার গল্প নিয়েই নির্মিত তুরস্কের বহুল আলোচিত এই সিরিয়াল। হাস্যরসে ভরপুর বাস্তবধর্মী এই গল্পে দেখা যায় মাতৃহীন পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে বড় বোন ফিলিয সবাইকে আগলে রেখেছে। নিজের সৌন্দর্য কিংবা ব্যক্তিগত হাসি- আনন্দ নিয়ে যার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। মূলত সংসার চালাতে গিয়ে ফিলিযের নিত্যদিনের যে সংগ্রাম, তা নিয়েই এ ধারাবাহিকের গল্প এগিয়ে যায়। সুখে দুঃখে কাছের বান্ধবী তুলায়কে ফিলিযের পাশে এসে দাঁড়াতে দেখা যায়। মদ্যপ বাবার দায়িত্বহীনতা, নিত্যদিনের আর্থিক টানাপোড়েন, সর্বোপরি জীবন বাস্তবতা বয়সের চেয়ে অনেক বেশি পরিপক্ক করে তুলেছে এলিবোল পরিবারের ছেলেমেয়েদের। রাহমেত, হিকমেত, কিরায, ফিকরেত ও ইসমেত বড় বোনকে যেমন ভালোবাসে, তেমনি পারিবারিক যে কোন প্রয়োজনে বোনের পাশে এসে দাঁড়ায়। সেই সাথে ফিলিয ও বারিশের রোমান্টিক সম্পর্কের চড়াই উতরাই এই গল্পে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।
চরিত্র ও কন্ঠাভিনেতার তালিকা: ফিলিয (জয়শ্রী মজুমদার লতা), বারিশ (শফিকুল ইসলাম), ফিকরি (রফিকুল সেলিম), তুলায় (নাহিদ আখতার ইমু), তুফান (মরু ভাস্কর), রাহমেত (খায়রুল আলম হিমু), হিকমেত (এন কে মাসুক), মুজদে (নিগার সুলতানা মিমি), কিরায (নাদিয়া ইকবাল ইকরা), ফিকরেত (মেরিনা আফরোজ শিপু), ইসমেত (আনিরা মিশেল রিভা), সেইমা (মেরিনা মিতু), জেমিল (সজিব রায়) ও অন্যান্য।
ধারাবাহিকটির অনূদিত সংলাপ রচনা ও সম্পাদনায় কাজ করেছেন দীপ্ত টিভির নিজস্ব সংলাপ রচয়িতার দল। “আমাদের গল্প” ধারাবাহিকটির ডাবিং প্রজেক্ট ডিরেক্টর সজিব রায় ও রুবাইয়া মতিন গীতি এবং প্রযোজনা করেছেন রোমানা হোসেন।
ধারাবাহিক নাটক ‘আগুন পাখি‘: পারভেজ আমিনের পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন শহিদুজ্জামান সেলিম, গোলাম ফরিদা ছন্দা, আহছানুল হক মিনু, মৌটুসী বিশ্বাস, ইনতেখাব দিনার, আজাদ আবুল কালাম, শম্পা রেজা, নাজনিন হাসান চুমকী, বৈশাখী ও অন্যান্য অনেকে। এস জে মোশন পিকচার্সের প্রযোজনায় ধারাবাহিকটির লাইন প্রোডিউসার কিশোর খন্দকার।
আমেনা শৈশবে মাতৃহারা হয়, তখন থেকেই এক মাতৃমূর্তি। মা হারানোর পর কোলে তুলে নেয় ছোট ভাইকে। মায়ের মমতায় লালন করে তাকে। মাতৃবিয়োগের পরে বাবা দ্বিতীয়বার বিয়ে করবেন। অজানা আশঙ্কায় কাঁপে মেয়েটির বুক- কেমন হবে সৎ মা? সময়ের নিয়মে মেয়েটি তারুণ্য প্রাপ্ত হয় এবং নিজের ইচ্ছে অনিচ্ছের উর্ধ্বে গিয়ে বিয়ের জন্য প্রস্তুত হয়। সে জানে না কেমন হবে সেই নতুন সংসার? এসে পৌঁছায় একান্নবর্তী সম্পন্ন শ্বশুড়বাড়িতে। এর মধ্যে ঘটে গেছে ইংরেজ সরকারের প্ররোচণায় অসফল বঙ্গভঙ্গের ঘটনা। সেই আঁচ কিছু এসেছে এদের জীবনে। কিন্তু ভাঙনকাল শুরু হয়নি। স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দিতে গিয়ে মেয়েটির কিশোর বয়েসী প্রথম পুত্রসন্তান মৃত্যুবরণ করে। এই শোক নতুন মানুষ হিসেবে তৈরী করে গল্পের নায়িকাকে। দেশ তথা পৃথিবীজুড়ে চলছে এক অশান্ত পরিম-ল। আমেনা স্বাক্ষী হয় দুই বিশ্বযুদ্ধের। তার আঁচ এসে লাগেনা সরাসরি কিন্তু বদলে যায় জীবনগুলো।