নাটোর নিউজ: নাটোরে ২জন চিকিৎসকসহ ৫জনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলজার রহমান এ আদেশ দেন। আদালত চলাকালে এজলাসে বসে বিচারক নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ওসিকে মোবাইল ফোনে এ আদেশ দেন।
অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ অক্টোবর নাটোর জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অজিত কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে নাটোর সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ সুমনা সরকার -৪৫তার বোন একই হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা সাগরিকা সরকার বাবা সুনীতি সরকারসহ ৫জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয় বড়গাছা পালপাড়া মহল্লায় নিজ বাড়িতে ৩০ বছর ধরে বসবাস করছেন। তাঁর বাড়ির পেছনে চিকিৎসক সুমনা সরকার ও সাগরিকা সরকার নিজ বাড়িতে বসবাস করেন। তাঁরা আইনজীবীর বাড়ির পূর্ব পাশের সীমানাপ্রাচীর ভেঙে বাড়িতে যাতায়াতের রাস্তা করতে চাইলে উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। পরে ওই দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ৪০ জন দুর্বৃত্ত দিয়ে ওই আইনজীবীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁর বসতবাড়ির সীমানাপ্রাচীর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। গত বছর ১ অক্টোবর সন্ধ্যায় এই হামলা চালানো হলে ওই আইনজীবী পুলিশের ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে আত্মরক্ষা করেন।
হত্যার প্রস্তুতি নেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা এই মামলাটি দুই দফা তদন্ত হয়। তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আদালত মামলার আসামি নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সুমনা সরকার, (৪৫) তাঁর বোন একই হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা সাগরিকা সরকার (৩০), করুণা রানী সরকার (৫৫), বাবা সুনীতি রঞ্জন সরকার (৬০) এবং সহযোগী মো. মাসুমের (৫০) বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেন। গত ২০ এপ্রিল আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নাটোরের পুলিশ সুপার বরাবর পাঠানো হয়। কিন্তু সদর থানা আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
বুধবার মামলাটির শুনানির তারিখ ছিল। আদালতে মামলাটি উঠলে বাদীর আইনজীবী আদালতকে জানান, আসামি সুমনা সরকার ও সাগরিকা সরকার সরকারি চিকিৎসক। তাঁরা সদর থানা ভবনের অদূরেই হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এই শহরেই তাঁরা বিচরণ করেন। অথচ পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করছে না। আদালতকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানানো হয়।আদালত শুনানী শেষে আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামীদেও গ্রেপ্তার করে আদালেেত সাপর্দ করার আদেশ দেন।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ আদালতের আদেশ কার্যকর করা হবে বলে জানান। নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক পরিতোষ চন্দ্র রায় জানান, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সম্পর্কে কিছু জানেন না। সুমনা সরকার সদর হাসপাতালে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন। তবে তাঁর বোন সাগরিকা সরকার সম্প্রতি অন্যত্র বদলি হয়েছেন।