নাটোর নিউজ বাগাতিপাড়া: ট্রিপল নাইন (৯৯৯) এ মেসেজ পেয়ে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ধর্ষনের স্বীকার এক গৃহবধুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় ধর্ষণের অভিযোগে মন্টু নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। অভিযুক্ত মন্টু প্রামাণিক (৩০) উপজেলার দয়ারামপুর মিশ্রিপাড়া গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে। শনিবার সকালে অভিযুক্ত মন্টুর বাড়ি থেকে গৃহবধুকে উদ্ধার করা সহ দয়ারামপুর এলাকা থেকে মন্টুকে আটক করে পুলিশ। শনিবার বিকেলে অভিযুক্তকে নাটোর আদালতে প্রেরন করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, নাটোর গুরুদাসপুর উপজেলার গৃহবধু পার্শবর্তী উপজেলা বড়াইগ্রামের মাধাইমুড়িয়া গ্রামের আফছারের ছেলে শরিফ এর সাথে ধর্ম ভাই-বোন সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে গত বৃহস্পতিবার শরিফের বাড়িতে বেড়াতে আসে ওই গৃহবধু। পরদিন শুক্রবার শরিফের সাথে বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর এলাকায় ঘুরতে আসেন তিনি। শরিফ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় মন্টুর সাথে তার বাড়িতে পাঠায় গৃবধুকে। মন্টু তার নিজ ঘরে আটকে রেখে তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করলে গৃহবধু কৌশল করে গ্যাসের ঔষধ আনতে পাঠায় মন্টুকে। সেই সুযোগে ট্রিপল নাইন (৯৯৯) এ মেসেজ করে পুলিশের সহযোগীতা চায় ওই গৃহবধু। তবে তিনি নির্দিষ্ট করে সঠিক ঠিকানা জানাতে পারেননা। পরে ৯৯৯ থেকে তার কাছে পাঠানো বাগাতিপাড়া থানার ডিউটি অফিসারের দিলে সেখানে কল করে তিনি সহযোগিতা চান। ইতোমধ্যে মন্টু ফিরে এসে আবারও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে বাঁধা দিলে ধারালো বটি দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোর করে ওই গৃহবধুকে ধর্ষণ করে মন্টু।
এদিকে পুলিশকে নির্দিষ্ট করে সঠিক ঠিকানা বলতে না পারলেও সকালে অভিযানে গৃহবধুকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত কে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, ট্রিপল নাইনে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ভিকটিম কে উদ্ধার করে অভিযুক্ত মন্টুকে আটক করে থানায় আনা হয়। এঘটনায় ওই গৃহবধু থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তকে আজ শনিবার বিকেলে নাটোর আদালতে প্রেরণ করা হয়। এছাড়া মেডিকেল টেষ্টের জন্য গৃহবধুকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।