নাটোর নিউজ বড়াইগ্রাম: নাটোরের বড়াইগ্রামে দুই বাস ও ১টি ট্রাকের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ৭ জন নিহত ও কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। শনিবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে বনপাড়া-ঢাকা মহাসড়কের বনপাড়া গাজী অটো রাইস মিলের সামনে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা থেকে রাজশাহী গামী ন্যাশনাল ট্রাভেলস ও নাটোর থেকে ঢাকা গামী সিয়াম পরিবহন এবং সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের সংঘর্ষ বাধে। এতে ঘটনাস্থলেই ১ নারী ও ৬ পুরুষ যাত্রী নিহত হয়। খবর পেয়ে বনপাড়া ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায় ও নিহতদের উদ্ধার করে।
ফায়ার সার্ভিস রাজশাহী রেঞ্জের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম জানান, সাত জনের পরিচয় আপাতত পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ভাই-বোন সাদিয়া (১২) ও কাউসার (১৮)। তারা সিয়াম পরিবহনের যাত্রী ছিলেন। তাদের মা ওই বাসেই ছিলেন এবং অক্ষত আছেন। নিহত ভাই-বোন নাটোরের হরিশপুরের পাইকারদোল গ্রামের কাওসার হোসেনের সন্তান। অন্যান্য নিহতরা হলেন লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া এলাকার রুহুল আমিনের স্ত্রী মোহনা আক্তার মিলি(২৬), জলিল (২৫), টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার রাংগুনিয়া গ্রামের মশিউর রহমান (২৫) চাপাইনবাবগঞ্জের মিজানুর রহমান(৩০) মাগুরা জেলার মুক্তর হোসেনের ছেলে আলমগির (৪৭) উল্লেখ্য, ন্যাশনাল ট্রাভেলস থেকে ৫জন পুরুষ ও সিয়াম পরিবহন থেকে ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, হাইওয়ে বগুড়া অঞ্চলের পুলিশ সুপার মুন্সি শাহাবুদ্দিন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠণ করে তাদের দুই দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দানের নির্দেশ দেন। সেখানে তিনি নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে প্রদানের আশ্বাস দেন। সেই সাথে আহতদের প্রত্যেককে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নির্দেশ দেন।
বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানান, ন্যাশনাল ট্রাভেলসের চালক বেপরোয়ভাবে বাস চালাচ্ছিলেন। তাকে মানা করা সত্বেও তিনি কর্ণপাত করেননি। দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হওয়ার পর ঢাকা থেকে নাটোর গামী একটি ট্রাক ন্যাশনাল ট্রাভেলসের বামটিকে পেছনথেকে ধাক্কা দেয়।