নাটোর নিউজ নলডাঙ্গা: নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার খোলাবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন বিলম্ব হওয়ায় সভাপতি ও তার অনুসারীরা প্রধান শিক্ষককে মারপিট করেছে। জীবনের নিরাপত্তা না থাকায় শুক্রবার বিকেলে এলাকা ছেড়ে রাজশাহী চলে গেছেন প্রধান শিক্ষক সালাহ্ উদ্দিন। শুক্রবার নলডাঙ্গা থানার ওসি বিষয়টি নিয়ে আপোষ মিমাংসা করার চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি।
আহত প্রধান শিক্ষক, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খোলাবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন বিলম্ব হওয়ায় বুধবার সভাপতি আব্দুল আওয়াল ও তার অনুসারীরা প্রধান শিক্ষকের অফিসে এসে বিলম্বের কারণ জানতে চান। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কবির্তক হয়। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষককে কিল ঘুষি ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। চেয়ার তুলেও তাকে মারার চেষ্ঠা করা হয়। খবর পেয়ে অন্য শিক্ষকদের সাথে হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচাতে এসে প্রধান শিক্ষকের দুই ভাই ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন রতন ও ফয়জুল ইসলাম হীরাও আহত হন।
এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক বৃহস্পতিবার সভাপতি আব্দুল আওয়াল, তার ভাই প্রভাষক আয়নাল হক, স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের ধর্মপিতা পরিচয়দানকারী আব্দুল হাই, আলমগীর ও পাশের মাদরাসার পিয়ন সেন্টুর নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাতদের নামে নলডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রধান শিক্ষক সালাহ্ উদ্দিন বলেছেন, জীবনের নিরাপত্তা না থাকায় শুক্রবার বিকেলে তিনি এলাকা ছেড়ে রাজশাহী চলে গেছেন। একই দিন সকালে তাকে আপোষের জন্য নলডাঙ্গা থানায় ডেকে নিয়ে গেলে তিনি আপোষ হননি বলে জানান।
এ সময় থানার ওসি ও ইউপি চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন ছাড়াও উভয় পক্ষের অনেকে থানায় ছিলেন বলে তিনি দাবী করেন। শুক্রবার বিকেলে এ বিষয়ে জানতে চাইলে নলডাঙ্গা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম আপোষ করানোর চেষ্ঠার কথা অস্বীকার করেন। মামলা রেকর্ড না করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেদিন স্কুলে মারপিটের কোন ঘটনাই ঘটেনি, তাই মামলা রেকর্ড করেননি। অভিযুক্ত সভাপতি আব্দুল আওয়াল বলেছেন, প্রধান শিক্ষক তাকে সভাপতির দায়িত্ব দিতে গড়িমসি করায় এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কয়েকজনকে নিয়ে তিনি সেদিন স্কুলে গিয়েছিলেন। সেখানে কোন মারপিট হয়নি, তবে অনেক উত্তেজনা হয়েছিল।