নাটোর নিউজ বড়াইগ্রাম: নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় ২৫ বছর বয়সী কনের সাথে বিয়ে হলো ১৯ বছর বয়সী বরের। তবে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারিয়াম খাতুন কনের বাড়িতে উপস্থিত হয় এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্য বিয়েতে সহযোগিতা করার দায়ে বরের চাচা মজিবর রহমান (৫৫)কে ৩০ হাজার টাকা অর্থ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
জানা যায়, উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের বাহিমালী গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে সুমী খাতুনের সাথে মোটা অংকের যৌতুকের বিনিময়ে বিয়েতে সম্মত হয় মানিকপুর গ্রামের শামসুল হকের অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে শাকিল আহমেদের পরিবারের সদস্যরা। বিকেল ৫টার দিকে কনের বাড়িতে অপ্রাপ্ত বয়স্ক বর পৌঁছালে এলাকায় গুঞ্জন সৃষ্টি হয়। পরে এ ঘটনা জানতে পেরে ইউএনও পৌঁছে যায় বিয়ে বাড়িতে। কিন্তু ততক্ষণে বিয়ের কার্য সম্পন্ন করে কনে পক্ষ। পরবর্তীতে ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বরের চাচাকে অর্থ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
এর আগে দুপুর ২টার দিকে একই ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের অপর একটি বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম। জানা যায়, ওই গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে নবম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী চাঁদনী খাতুন (১৬) এর বিয়ের প্রস্তুতি চলছিলো। খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান স্থানীয় ইউপি সদস্য মুক্তার হোসেন সহ গ্রাম্য পুলিশদের সঙ্গে নিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন। এ সময় কনের বাবা প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দিবেন না মর্মে লিখিত মুচলেকা দেন।