নাটোর নিউজ সিংড়া: চলনবিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষা, পর্যটন সম্ভাবনা, যুব সমাজকে মাদক থেকে দুরে রাখতে ও দৌড়কে জনপ্রিয় করতে নাটোরে চলনবিল হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৮ মার্চ শুক্রবার ভোর পৌনে ছয়টায় দিঘাপতিয়া এম কে কলেজ থেকে এই ম্যারাথন শুরু হয়। দুইটি ইভেন্টে দেশের ৩৫০ জন রানার অংশগ্রহন করছেন। এই ম্যারাথন দৌড় দেখতে রাস্তায় দুই ধারে হাজারো দর্শক দাঁড়িয়ে পড়ে। নাটোর শহরের দিঘাপতিয়া এম কে অনার্স কলেজ থেকে শুরু হয় ম্যারাথন দৌর প্রতিযোগিতা। খেলায় প্রতিযোগীরা দৌড় শুরুর পর নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মিনি কক্সবাজার খ্যাত হালতিবিলের পাটুল থেকে ইউ টার্ন হয়ে পুনরায় এম কে কলেজে এসে ম্যারাথন শেষ হয়। ২১.১ এবং ১০ কিলোমিটারের দুইটি ইভেন্টে খেলা হয়।
প্রথম স্থান অধিকারী প্রতিযোগিরা বলেন, রান করার প্রধান উদ্দেশ্য হল সুস্থ্য থাকা। সে কারণে তিনি নিজের মন ও শরীর সুস্থ্য রাখতে দৌড় করেন। তিনি আরো অনেক দুরে যেতে চান।
জেবা আখতার নামের প্রতিযোগী বলেন, সারা দেশে তিনি ৪১ টি ম্যারাধন দৌড় খেলেছেন। এরমধ্যে ৩৫ টি খেলায় ১ম থেকে ৩য় স্থান অর্জনকারীর তালিকায় রয়েছেন। তিনিও সুস্থ্য ও মাদকমুক্ত থাকতে খেলাধুরার মাঝে থাকতে চান।
সিলেট থেকে আসা প্রথম স্থান অধিকারী আশরাফুল ইসলাম, জানান, তিনি নাটোরে প্রথম এসেছেন। খেলার পরিবেশ দেখে তার ভালো লেগেছে। এই প্রতিযোগী জানান, তিনিও নাটোরে প্রথম এসেছেন। দৌড়ানোর জন্য এখানকার আবহাওয়া অনেক ভালো ছিল। এছাড়াও আয়োজনটাও অনেক ভালো পরিবেশে হয়েছে।
দর্শকরা জানান, তারা অনেক ধরনের দৌড় প্রতিযোগীতা দেখেছেন। কিন্তু এই ম্যারাথন দৌড় আগে কোনদিন দেখেননি। এই জাতীয় খেলোধুলা আরো আয়োজন করা প্রয়োজন। খেলাধুলা বা দৌড় প্রতিযোগীতা শরীরের জন্য কতটা প্রয়োজন তা শিশু, কিশোর বা যুবসমাজ বুঝতে পারবে। তাহলে মাদক সেবন কমে আসবে। নাটোর থেকে বিনোদন বা খেলাধুলা শেষ হয়ে গেছে প্রায়। এজন্য তাদের অনেক ভালো লেগেছে।
আয়োজকরা বলেন, হাফ ম্যারাথন দুইটি ভাগে ভাগ করে এই প্রতিযোগিতা করা হচ্ছে। প্রতিযোগীতা শেষে ১ম,২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীকে মেডেল ও অন্য প্রতিযোগীতের পুরস্কার দেওয়া হবে।
আয়োজক আশরাফুল ইসলাম বলেন, পোনা মাছ বাঁচাও বিল বাঁচাও ,যুব সমাজকে মাদক মুক্ত করে শরীর সুস্থ্য