ফাগুনের দখিনা সমীরণে ভাসছে আজ তোমার অলকের আবেগমাখা মিষ্টি সুবাস,
ভোরের পাখির কাব্যের চিত্ররূপ পায় তোমার লাল শিফেন শাড়িতে প্রকাশ।
কবরীতে শোভা পেয়েছে শুভ্র কনকচাঁপা , আলপনার ছোয়া তোমার কোমল হাতে,
ফাগুনের সেই রৌদ্রবতী দিনে হেরেছি তোমার রূপ, হেরেছি রবির কিরণ মাখা প্রভাতে।
রুদ্রপলাশের আবেগ মাখা স্পর্শ পড়েছে তোমার ঠোঁটে, আঁচর ভিজছে আধাঁরের জলে,
হাতের লাল চুরি, কপালের নীল চন্দ্রবিন্দুর টানে, হিয়া আশ্রয় পেতে চায় তোমার নিবৃত্ত আঁচল তলে।
তোমার আঁচোর ছায়ার সান্নিধ্য পেয়েছে আষাঢ়ি লতার সতেজ মাঝারি গুল্ম।
মেয়ে, তুমি জানো কি তোমাকে ভালোবাসার জন্যে এ ধরণীর বুকে হয়েছে যে মোর জন্ম?
বা হাতের আঙুল দিয়ে দিঘল মেঘ ধরে আছো, ব্রাউনিয়ার দ্বারে পড়ছে তার ছায়া।
ঠোঁটের লালিমা আর কিন্নর সুরে, আমি প্রতিবার খুঁজে পাই তোমার কাজলে অদ্ভুত তৃপ্তির মায়া।
লোনলি লগ্নের ফাগুনী তুমি আমার, দেবদারু রোড থেকে আকাশপানে –
নির্ঘুমে কাটিয়েছি কত রাত – বৈশাখি চত্বর থেকে সাড়ে বারশো একর তা জানে।
দৃষ্টি পরাভব তোমার কুন্তল তলে, আমি তো তোমাতেই থাকি,
বসন্তের রুদ্র পলাশ হলে আমি, হবে কি তুমি আমার হীরামন পাখি?
তোমার পানে, তোমার নামে রটিয়ে দিলাম, আমার হিয়ায় যত ভালোবাসা ছিল জমা।
তোমায় নিয়ে লিখব প্রেমের মহাকাব্য, আঁকব শব্দ ছবি, নাম দিবো তার – ফাগুনীনামা।
বসন্তের শুভেচ্ছা প্রেয়সী, এবার আমার বদন খানিতে চেয়েই দেখো না একটি বার!
বসন্তের এই মেদুর দিনে তোমার নামে, শাজাহানের চেয়েও বড় তাজমহল গড়ব আমি আবার।
তুমি বলে দাও না একটি বার, ‘আমিও তোমাকে ভালোবাসি, ভালোবাসি তোমায়।’
অপেক্ষার প্রহর শেষে, বসন্তের লিলুয়া বাতাসে, ভেসে আসে কিন্নর ধ্বনিঃ
‘এই লাজুক ছেলে তোর সাথে আমাকেও নিয়ে চল তোর ভালোবাসার দুনিয়ায়..’
সেদিন থেকে ও আমার;
একদিন বা দুদিনের জন্য নয়,
ফাল্গুনী চিরদিনের জন্য আমার হয়ে যায়।
~ সমাপ্ত ~
লেখকঃ কবি ও শিক্ষার্থী
পশুপালন অনুষদ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ