নাটোর নিউজ বড়াইগ্রাম: নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় গৃহহীন পরিবারের জন্য সরকারি খাস জমিতে তৃতীয় পর্যায়ে গৃহ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন তাদের নতুন ঠিকানা। পরিবারগুলোর মুখে হাসি ফুটেছে। চলমান তৃতীয় পর্যায়ে তালিকাভুক্ত ৪৯ টি পরিবার তাদের স্বপ্নের ঘর পাওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ মারিয়াম খাতুন জানান সরেজমিনে গিয়ে ঘর নির্মাণ কাজের সার্বিক বিষয় পরিদর্শন করেছেন। তিনি আরো বলেন আশ্রয়ণের অধিকার- শেখ হাসিনার উপহার’ এ স্লোগানে বড়াইগ্রাম উপজেলায় ভূমি ও গৃহহীন মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আবাসন উপহার হিসেবে দেওয়া প্রদত্ত খাস জমিতে প্রথম পর্যায়ে ১৬০টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৬৬ এবং তৃতীয় পর্যায়ে ৪৯ টি পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণের কাজ করছে বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রশাসন।প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে গৃহ নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছেন উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা প্রশাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য চলতি অর্থবছরে বড়াইগ্রাম উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৪৯টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে বড়াইগ্রাম ইউনিয়নে ৮টি, জোয়াড়ী ইউনিয়নে ১১টি, জোনাইল ইউনিয়নে ৪ টি, নগর ইউনিয়নে ৬টি, চান্দাই ইউনিয়নে ২০টি, ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে ।প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত ভূমিহীন ও গৃহহীন প্রত্যেক পরিবারকে ২ শতাংশ খাসজমি বন্দোবস্ত করে ওই জমির ওপর ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। দুই কক্ষবিশিষ্ট এসব আধা পাকা ঘরের প্রতিটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা।সবগুলো ঘর সরকার নির্ধারিত একই নকশায় হচ্ছে। রান্নাঘর, সংযুক্ত টয়লেটসহ অন্যান্য সুবিধা। সেই সঙ্গে ওই পরিবারগুলোর আধুনিক সুবিধার জন্য থাকছে আলাদা বিদ্যুৎ সংযোগ, পানি সরবরাহের পাশাপাশি ওই এলাকায় স্থাপন করা হচ্ছে আলোকবাতি। আর তাদের যাতায়াতের জন্য তৈরি করা হচ্ছে নতুন সড়ক।
কয়েকজন গৃহহীন বলেন, নিজের জমি ও ঘরবাড়ি নাই। মানুষের জমিতে কোনো রকম আশ্রয় নিয়ে বসবাস করেছিলাম। জীবনে কখনো ভাবিনি পাকা ঘরে থাকব। আমরা জীবনে যা কল্পনাও করিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আমাদের জন্য তা করেছে। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাই।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি, যেন অসহায় পরিবারগুলো চলমান তৃতীয় পর্যায় দ্রুত সময়ের মধ্যে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে পারেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ঘর নির্মাণের কাজ সঠিকভাবে তদারকি করা হচ্ছে। সারা দেশের ন্যায় আমার উপজেলায় কেউ গৃহহীন থাকবে না। মুজিববর্ষে গৃহহীনদের ঘর নির্মাণের মাধ্যমে শেখ হাসিনার করা অঙ্গীকার সম্পূর্ণ বাস্তবায়নের বদ্ধপরিকর উপজেলা প্রশাসন।