স্টাফ রিপোর্টার, নাটোর: নাটোরে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সার্কিট হাউজ এলাকায় রমজান গ্রুপ ও শিমুল গ্রুপের সংঘর্ষের দুই চোখ হারাতে বসেছেন ইজিবাইক চালক তোতা মিয়া। গত ১৯শে ফেব্রুয়ারি নাটোর সার্কিট হাউজে সংঘর্ষের সময় একটি ইটের আঘাতে তোতা মিয়ার ডান চোখ গুরুতর জখম হয়। সেদিন তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার চোখটি অপসারণ করেন চিকিৎসকরা। সেই চোখ থেকে ছড়িয়ে পড়া ইনফেকশন তাঁর অপর চোখ ও মাথায় ছড়াতে শুরু করেছে।
শনিবার(২৬ ফেব্রুয়ারী)তোতা মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকায় নেয়া হয়েছে। এর আগে গত এক সপ্তাহ তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের চিকিৎসক ডা. সাইফুল ইসলাম সাত্তারের তত্বাবধানে চিকিৎসা দেয়া হয়।
তোতা মিয়ার স্ত্রী স্বপ্না বেগম জানান, তার স্বামী তোতা সাংসদ শিমুলের অনুসারী ছিলেন। চার ছেলে ও তিন মেয়ে নিয়ে শহরের পটুয়াপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন তারা। ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে কেন্দ্রিয় নেতাদের সার্কিট হাউজে স্বাগত জানাতে যুবলীগ নেতাদের সাথে যান তোতা মিয়া। হঠাৎ সেখানে সংঘর্ষ শুরু হলে একটি ইট এসে তার ডান চোখে লাগে। এতে সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। চোখটি থেঁতলে যায়। সেদিন ৮ থেকে ১০ জন কর্মী আহত হলেও সবচেয়ে গুরুতর আহত হন তোতা।গত এক সপ্তাহে আত্নীয় স্বজনদের থেকে ধার করা ৭০ হাজার টাকায় তাঁর চিকিৎসার করা হয়েছে। এখন তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হচ্ছে। এখন আর আমার পক্ষে চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। যে দলের জন্য তিনি দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছেন তারা এগিয়ে না এলে চিকিৎসা বন্ধ করে দিতে হবে।
নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, বিনা উস্কানিতে সার্কিট হাউজে সাধারণ সম্পাদক রমজান সমর্থকরা তার কর্মীদের উপর হামরা চালিয়েছেন। পরিকল্পিত সে হামলায় রমজানের কোন কর্মীই আহত হননি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচা্র দাবী করছি। তোতার চিকিৎসার জন্য আমার পক্ষ থেকে যথাসম্ভব সাহায্য করা হবে।