নাটোর নিউজ সিংড়া: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, মাত্র ১৩ বছরে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তরিত করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সিংড়ায় ৫ টি প্রতিষ্ঠান উপহার দিয়েছেন। ২০ একর জমিতে
৫টি প্রতিষ্ঠান গুলো গড়ে উঠছে। টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হাইটেক পার্ক, শেখ রাসেল ইনকিউবেশন সেন্টার, শেখ কামাল মিনি স্টেডিয়াম সহ ২৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে শেরকোলে ৫ টি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে।
প্রতিমন্ত্রী পলক আরো বলেন, ১৭ কোটি মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পাচ্ছে। সারাদেশে ২০ লক্ষ তরুণ তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ করেছেন জনাব সজিব ওয়াজেদ জয়। তরুনদের মধ্য বিশ্বজয়ের স্বপ্ন সারথি তিনি। তার মেধা ও দুরদর্শিতার কারনে ডিজিটাল বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। ৫ কোটি শিক্ষার্থী করোনাকালিন সময়ে শিক্ষার সুযোগ পেয়েছেন। অনলাইনে ক্লাসের সুবিধা পেয়েছে। ডিজিটাল ইন্টেকটিয়াল বুকের মাধ্যমে, সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ পেয়েছেন। করোনার নিবন্ধন সরকার বিনামূল্যে করে দিয়েছেন। আইসিটি বিভাগ এ কাজটি করেছে। লাল ফিতার দৌরাত্ব দুর করতে ই নথির ব্যবস্থা করেছে সরকার। ১ কোটির উপর ফাইল সম্পাদন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। মাথা পিছু আয় বেড়েছে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু বলতেন ঢাকা মানে বাংলাদেশ নয় তাই গ্রামের উন্নয়নে তিনি নজর দিয়েছেন। তাঁরই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকার গ্রামকে শহরে রুপান্তরিত করেছেন।
পলক আরো বলেন, চলনবিল অবহেলিত এলাকা ছিলো। ৩০% মানুষ আলোকিত ছিলো। সরকার শতভাগ বিদ্যুৎ এর আলোয় আলোকিত করেছেন। ৩ শ কিলোমিটার পাকা রাস্তা হয়েছে। মানুষের মৌলিক চাহিদা পুরন করা হচ্ছে। বিলের মধ্যে সাবমার্সিবুল সড়ক নির্মান করে দেয়া হচ্ছে। উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌছানো হয়েছে। ই সেন্টারে আড়াইশ সেবা দেয়া সম্ভব হয়েছে। সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সেবার মান উন্নত হয়েছে। তিনটি এ্যাম্বুলেন্স দেয়া হয়েছে। ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। সভায় প্রতিমন্ত্রী নাটোর – বগুড়া মহাসড়কের কাজের অগ্রগতি না থাকায় জনদূর্ভোগে সমালোচনা করেন এবং ১ মাসের মধ্য কাজের অগ্রগতি না হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কে কালো তালিকাভুক্ত সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
প্রতিমন্ত্রী সোমবার সকাল ১১ টায় জেলা পর্যায়ে হাইটেক পার্ক বাস্তবায়ন প্রকল্পের সিংড়া উপজেলায় হাইটেক পার্ক সহ উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমএম সামিরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, এ.কে এ.এম ফজলুল হক প্রকল্প পরিচালক জেলা পর্যায়ে আইটি হাইটেক পার্ক নাটোর, মোঃ মোস্তফা কামাল (যুগ্মসচিব) প্রকল্প পরিচালক শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নাটোর, হাইটেক পার্কের পরিচালক ডাঃ বিকেন্দ ঘোষ, শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ লুৎফুল হাবিব রুবেল, ডায়াবেটিস সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমীন, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান কামরান প্রমূখ।
এছাড়া বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও গণ্যমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।