নাটোর নিউজ লালপুর: উপজেলার গোপালপুর শিবপুর খানপারা গ্রামের একজন যুবক মাছ চাষ করে ঈর্ষনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন। এবছর (২০২১) মাছের মিশ্র চাষ করে তিনি ৩৫ মে.টন মাছ উৎপাদন প্রায় ৭০ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। এতে তিনি প্রায় ২০ লাখ টাকা মুনাফা অর্জন করেছেন।
জানা গেছে ফরহাদ হোসেন নামের ঐ যুবকের বাবা একজন ক্ষুদ্র মৎস্য চাষী ছিলেন এবং তার বাবা মারা যাবার পরে সে তার লেখা পড়া চালিয়ে নিতে পারেননি অষ্টম শ্রেণী প্রর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন এবং প্রথম দিকে তিনি মাছ চাষ শুরু করেন। ২০১০ সালের দিকে ইজারা ০.৩ হে: জলাশয়ের একটি পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন। প্রথম দিকে সনাতন পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে লাভ হয়নি। পরবর্তী উপজেলা মৎস্য বিভাগের পরামর্শে এবং প্রশিক্ষণ ও তাদের সহায়তায় মাছ চাষ শুরু করেন।
এরপর বিভিন্ন সময়ে ঐ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা মৎস্য দপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। এক পর্যায়ে তিনি অন্যের পুকুরে ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করতে থাকেন। বর্তমানে ৩.৩৫ হে: আয়তনে ১০টি পুকুরে তিনি রুই, কাতলা, মৃঘেল, সিলভার কার্প, সরপুটি, বাটা, মিনার কার্প জাতীয় মাছের চাষ করেছেন।পাশাপাশি তিনি এলাকার মৎস্য চাষীদেরো পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন সময়ে মৎস্য অধিদপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ তার মৎস্য খামার পরিদর্শন করেছেন।
ফরহাদ হোসেন বলেন, মাছ চাষের মধ্য দিয়ে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। আত্মপ্রত্যয় থাকলে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়। মাছ চাষ করে শিক্ষিত যুবকরা সহজেই বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবু সামা জানান, মাছের চাষে ফরহাদ হোসেন সাফল্য অনুকরণীয়। দেশে অসংখ্য জলাশয় পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে, সেগুলো মাছ চাষের আওতায় আনা হলে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।