নাটোর নিউজ: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করার লক্ষ্যে মর্যাদাপূর্ণ ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে আগামী রবিবার ১৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশেষ এই স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দেবে সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার আইডিইএ-২ প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক স্কোয়াড্রন লিডার কাজী আশিকুজ্জামান এ তথ্য জানান। বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, সাবেক সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ওবায়দুল কাদের, কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্য, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ দেশের ১০০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে এই বিশেষায়িত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের মাধ্যমে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে।
আইডিইএ-২ প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক স্কোয়াড্রন লিডার কাজী আশিকুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখা সংবলিত বিশেষ স্মার্ট কার্ড প্রদানের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সংগ্রহ করে অনুমোদিত তালিকার ভিত্তিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য স্মার্ট কার্ড প্রস্তুত করা হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর বিশেষ এই স্মার্ট কার্ডের নকশা তৈরি করতে সাত সদস্যের টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশ ও পরামর্শ অনুযায়ী স্মার্ট কার্ডের ডিজাইন চূড়ান্ত করা হয়। অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী বর্তমান স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের অবয়ব ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য অপরিবর্তিত রেখে চিপের ঠিক নিচে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখা থাকবে।
কাজী আশিকুজ্জামান আরো বলেন, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ পদবি সংযুক্ত করে চূড়ান্ত নমুনা প্রস্তুত করে বিশ্লেষণপূর্বক বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। যাতে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের কোনো নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য নষ্ট না হয়। এছাড়া স্মার্ট কার্ডে তিন স্তর বিশিষ্ট ২৫টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রথম স্তরের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য খালি চোখে দেখা গেলেও দ্বিতীয় স্তরের বৈশিষ্ট্যগুলো দেখার জন্য প্রয়োজন হয় বিশেষ যন্ত্র। অন্যদিকে ল্যাবরেটরিতে ফরেনসিক টেস্টের মাধ্যমে শেষ পর্যায়ের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করা হয়ে থাকে।