সাফায়তরা মূল্যায়িত হোক – বুলবুল আহমেদ
যে দেশে গুণিজনের কদর হয় না সেই দেশে নাকি গুণিজন জন্মায় না! সাফায়াত আমাদের নাটোরবাসী জন্য এক গর্বের ধন ছিল। তার অকাল মৃত্যু সত্যিই বেদনাদায়ক। আমি সাফায়াতকে ব্যক্তিগতভবে চিনতাম না তবে তার মৃত্যুতে ব্যথিত হয়েছি।
বলতে গেলে সে আমাদের ভাজিতা ছিল। এমন একটা উজ্জ্বল নক্ষত্রের অকাল মৃত্যু এবং তাও আবার দুর্ঘটনায়! তা মানতেই কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু মৃত্যু ত মানতেই হয়।
তবে সাফায়াত মৃত্যু পর তার প্রতি নাটোরের ক্রীড়াঙ্গনের মানুষদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বিষয়ে কিছু আলোচনা দৃষ্টিগোচর হলো এবং কিছু বিষয়ে পক্ষপাতদুষ্ট আলোচনা মনে হওয়ায় দু-একটি কথা লিখলাম।
নাটোরে ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে কখনো কোন কথা বলতে চাইনি, এখনও খুব ইচ্ছে করে না। তবে যা দেখেছি সৈয়দ মোস্তাক আলী মুকুল ভাই জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তখন স্টেডিয়ামে লাখ-লাখ টাকা জুয়া হতো হাউজির নামে। এসব টাকার ভাগ অনেকেই নাকি পেতেন, দিতো হতো! ঢাকার ক্যাসিনো বন্ধ হওয়ার সময় পুলিশ সুপার এবং জেলা প্রশাসকের প্রচেষ্টায় নাটোরের এই ক্যাসিনোও (হাউজি) বন্ধ হয়।
পরে ঘটনাক্রমে মুকুল ভাই ক্রীড়া সংস্থা থেকে অব্যাহতি নিলেও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি হিসাবে এখনও দায়িত্ব পালন করছেন।
সদ্য প্রয়াত ফুটবলার সাফায়ত নাটোর জেলা দল এবং ফুটবল একেডেমি নিয়মিত গোলরক্ষক এবং একাদিক্রমে সে বিকেএসপির ২০১৯ব্যাচের ছাত্রও বটে।
সেইদিক বিবোচনায় আমার মনেহয় নাটোর জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের গুরু দায়িত্ব ছিলো সাফায়েত মৃত্যুতে শোকসভা বা যেকোনো ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা। যদিও জেলা জেলা ক্রীড়া সংস্থাও ভূমিকা রাখতে পারতেন।
তবে কোন বিশেষ ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে কোন বিশেষ ভাইয়ের প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশ যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলাও বোধকরি কোন সুস্থ চিন্তার প্রকাশ নয়। তাছাড়া সাধারণ মানুষ বা শুভ চিন্তার মানুষরা এসব ভাল চোখে দেখে না বলেই বিশ্বাস করি।
সকলের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক, সাফায়াতরা মূল্যায়িত হোক সকল সংগঠনের কাছে। চলুন সকলে ধিক্কার জানাই নগ্ন পক্ষপাতিত্বকে!
লেখক: সংস্কৃতিকর্মী, সাংবাদিক ও সাবেক সাধারন সম্পাদক ইউনাইটেড প্রেসক্লাব নাটোর।