পঞ্চম বাংলাদেশ-ভারত সাংস্কৃতিক মিলনমেলা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নাটোরে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত
নাটোরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়কে অবশ্যম্ভাবী করতে ভারত অসামান্য অবদান রেখেছিল। মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহনের মাধ্যমে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর পরাজয়কে তরান্বিত করেছিল। এদেশের মানুষ ভারতের অবদানকে কৃতজ্ঞ চিত্তে আজীবন মনে রাখবে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের এই ৫০ বছর পূর্তিতে মন্ত্রিপরিষদের চার মন্ত্রী সহ অনেকেই আসবেন। আমাদের আয়োজনে যেন কোনো কমতি না থাকে। তিনি আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পঞ্চম বাংলাদেশ-ভারত সাংস্কৃতিক মিলনমেলা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নাটোরে প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব কথা বলছিলেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম বকুল, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রতন চন্দ্র পন্ডিত, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, নাটোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সাজেদুর রহমান খান সহ কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভায় জানানো হয় যে,বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে আগামী ২৬-২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের মন্ত্রী পরিষদের চার সদস্যসহ ৪০ সদস্য এবং বাংলাদেশের শিল্পি-সাহিত্যিকদের সমন্বয়ে রাজশাহী ও নাটোরে মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যা ভূমি, প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন পরিদর্শন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করবেন। এ উপলক্ষ্যে দুই দেশের প্রতিনিধিদল ২৭ ফেব্রুয়ারি নাটোরের রাণীভবানী রাজবাড়ি ও উত্তরা গণভবন পরিদর্শনসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মিলনমেলায় অংশগ্রহন করবেন। নাটোরে ৫০টি মৈত্রী বৃক্ষও রোপন করা হবে। সভা শেষে তারা উত্তরা গণভবন পরিদর্শন করে স্থান নির্ধারণ করেন।