গদ্য পদ্যের প্রাক কথন
দেবেশ ঠাকুর
তুমি যখন বাজার সেরে ফিরলে সকাল দশটাতে
অনিচ্ছুক চপ্পলটা ঘসটাতে আর ঘসটাতে
কমলকুমার গদ্য কিনে দুই থলি
পদ্য টদ্য উধাও হলো কোন রাস্তার কোন গলি
পাঁওরুটি , কেক, অন্তর্বাস , শার্পেনার আর নেল পালিশ
এসব নিয়ে নেই নালিশ।
তবু যখন রান্না ঘরে জিরে মৌরি পোস্ততে
হলুদ মাখা শাড়ি জড়িয়ে আঁটন পিঁড়ি বোস তাতে
অলঙ্কার ও ছন্দ নেই
কবির নাম ও গন্ধ নেই
অনুপ্রাসের জায়গা নিলো সুক্তোমাখা সংসারে
ঝিনুক কেটে সুক্তি উধাও,মুক্তি বুঝি এই ছাড়ে –
তারপরে যেই স্নান সেরে
হলুদ মুছে নুন ঝেড়ে
ছাদে বসে চুল শুকোলে আঁচল পাতা রোদ্দুরে
চোখ পড়ল যদ্দুরে
শুধুই মেঘ, শুধুই মেঘ, পেঁজা তুলো সৃষ্টিতে
পদ্য হয়ে ধরিত্রীকে ভিজিয়ে দিলো বৃষ্টিতে।