গ্রন্থ প্রদানের ভেতর থাকে শিহরিন – কামাল খাঁ
নবীন কবি-লেখকগণ সিনিয়রদের তার নিজের লেখা বই দেন। সেই সুবাদে অনেকের মতো আমিও দু-একটি বই পেয়েই যাই। এই গ্রন্থ প্রদানের ভেতর থাকে শিহরিত এক কাঙ্খা এই যে, যিনি প্রাপ্ত হন তিনি যেন বইটা তার পড়েন। যদি পড়েন তো ভালো আর না পড়লে রচয়িতার কিচ্ছুটি করবার নেই, সে কথা সকলের ভালো করেই জানা। বই পেয়ে পড়বার পর গ্রাহকের একটা দায় চলেই আসে তা অস্বীকার করবার উপায় নেই। কিন্তু কী সে দায়? আমি যা বুঝি পাঠান্তে পাঠ-প্রতিক্রিয়া গ্রন্থাকারকে জানানো। তা প্রায়শই হয়ে ওঠে না এই অধিক প্রকাশনারকালে। তবু বড়দের এইসব বিষয়ে ছোটদের সৃষ্টির সাথে যোগাযোগ থাকাটাই শোভনীয়। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই একজন নবীন কবির কবিতার বই নিয়ে দু’চারটি কথা। কবি সাহানা মহাম্মদ হাসানের সাথে পরিচয় মাত্র ক’মাস আগে। তিনি আমাকে তার প্রথম কবিতার বইটি দেন ক’মাস আগে আর কিছু দিনের ব্যবধানেই সদ্য প্রকাশিত দ্বিতীয় বই অরব শিকারী জাল’ পাঠালেন কুরিয়ারে। এই বই থেকে গ্রন্থের শিরোনামে লেখা কবিতাটি তুলে দিলাম-
এসো তবে মাত্রা শুরু করি।
তুমি কি বোঝ না, কবিতা কী বলে ?
মৃতূদূত কী বলেন?
এসো তবে শুভাকাঙ্ক্ষী
সপ্ত আসমান ভেদে দেখে নিই একবার
স্রষ্টার চিরস্থায়ী পাণ্ডুলিপিতে
কার কোথায় অবস্থান?
যদি তোমার আবাস হয় নরকে
এবং আমার স্বর্গে, তবে
পাণ্ডুলিপির বাহিরে কথা বলব না কেউ
কোনকালে।
কবিতার পাঠক হিসাবে কবি সাহানা মহাম্মদ হাসান(১৬ মে ১৯৮৭)-র কবিতা আমাদের দৈনন্দিন রচিত কবিতার মতো করেই দেখি । তবে কবিতায় নিজস্ব একটি দর্শন উঁকি দিচ্ছে তা আরো আরো রচনার ভেতর দিয়ে একটি স্বতন্ত্রধারায় রূপ নিতে পারে, বৈচিত্র্যও আরো আসতে পারে। নব নব আলোর বিভা তার কবিতাকে যেন বিকশিত করে এই মুহুর্তে প্রত্যাশা এইটুকুই।