নাটোর নিউজ নলডাঙ্গা: নাটোরের নলডাঙ্গায় গভীর রাতে ঘাস মারা কীটনাশক ছিটিয়ে হাফিজুল ইসলাম নামের এক কৃষকের দুই বিঘা পেঁয়াজেরর ক্ষেত নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা।
গত ২৩ ডিসেম্বর বৃস্পতিবার রাতে উপজেলার সরকুতিয়া চকচকিয়া মাঠের রোপনকৃত দুই বিঘা জমির চারা পেঁয়াজ ও বীজ পেঁয়াজ ক্ষেতে শুত্রুতা করে ঘাস মারা কীটনাশক প্রয়োগ করে।কয়েকদিন পর পেঁয়াজের চারা ও বীজ পেঁয়াজ পচন ধরে নষ্ট হতে শুরু করলে কৃষকের মাথায় হাত পড়ে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার নলডাঙ্গায় থানায় অভিযোগ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগি কৃষক হাফিজুল ইসলাম।ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক হাফিজুল ইসলাম উপজেলার সরকুতিয়া গ্রামের দেলবর রহমানের ছেলে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার সরকুতিয়া গ্রামের কৃষক হাফিজুল ইসলাম ১ বিঘা নিজের জমির সাথে আর ১ বিঘা জমি ৩০ হাজার টাকা দিয়ে লিজ নিয়ে পেঁয়াজের চারা ও কদম পেঁয়াজ রোপন করে।কিন্ত গত ২৩ ডিসেম্বর বৃস্পতিবার রাতে শুত্রুতা করে কে বা কাহারা ঘাস মারা কীটনাশক প্রয়োগ করে।কয়েকদিন পর দুই বিঘা জমির রোপনকৃত পেঁয়াজের চারা ও কদম পেঁয়াজ পচন ধরে নষ্ট হতে শুরু করে এবং জমির পাশে ঘাস মারা কীটনাশকের খালি বোতল পাওয়া যায়।এ ঘটনায় মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে নলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করে।ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক হাফিজুল ইসলাম বলেন,আমার দুই বিঘা জমিতে রোপনকৃত পেঁয়াজের চারা ও কদম পেঁয়াজের ক্ষেতে রাতের আধাঁরে ঘাস মারা কীটনাশক প্রয়োগ করে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার ক্ষতি করেছে দুর্বৃত্তরা।আমার স্বপ্ন এই ভাবে শুত্রুরা ভেঙ্গে দেওয়ায় আমি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।আমি এর তদন্ত করে বিচার দাবী করছি।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন,এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত করে অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওয়াতায় আনা হবে।