নাটোর নিউজ নওগাঁ: নওগাঁর সাপাহার উপজেলার মহজিদপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ ব্যানিজ্য ও সরকারি যায়গায় ঘর বরাদ্দ দিয়ে অবৈধ ভাবে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনার সাথে সাপাহার উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলী সরাসরি জড়িত বলেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলী এবারও চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। তবে বিতর্কের মুখে থাকায় দল থেকে মনোনয়ন পাননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই আকবর আলী বেপরোয়া হয়ে উঠেন। সাপাহার বাজারে সরকারি জায়গায় ১৫ জনকে ঘর বরাদ্দের নামে অন্তত ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। ভয়ে তার বিরুদ্ধে সেখানকার কেউ মুখ খুলতে পারেন না।
এদিকে, আকবর চেয়ারম্যান স্থানীয় মহজিদপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে আসছেন বেশ কিছুদিন ধরে। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার শ্যালক আব্দুর রাজ্জাক। অভিযোগ শ্যালক-দুলাভাই মিলে বিদ্যালয়ের রাম রাজত্ব গড়ে তুলেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাবেক ও বর্তমান কয়েক জন শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, অবৈধ ভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে বড় অঙ্কের টাকা পকেটে তুলেছেন আকবর চেয়ারম্যান ও প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক। সম্প্রতি ১ জন সহকারী শিক্ষকসহ ৪ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে প্রায় ৭০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
নিয়োগের সময় ওই শিক্ষক কর্মচারীদের কাছ থেকে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের নামে টাকাগুলো নেয়া হয়। কিন্তু সেই টাকা বিদ্যালয় ফান্ডে জমা না দিয়ে আত্নসাত করে তারা। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। কিন্তু প্রতিবাদ করে কোন লাভ হয়নি।
এসব বিষয়ে কথা হলে অভিযোগ অস্বীকার করেন আকবর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, একটি মহল ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।