দেবব্রত সরকারের কবিতা
আহ্বান
মহীরুহের স্বাদ আটকে গেল
বনসাই এর মগডালে
এভবে হয় না কিছুই।
মহিরুহের বিশালতার শীতলতা স্পর্শ করুক মনে
পূর্ণ হোক প্রত্যশন্ন সুন্দরের আগমন ধ্বনি।
এসো প্রর্থণা করি
সুন্দর এর কল্যানের,
যেখানে শুধুই মানুষের জন্য সব আয়োজন।
ভালোবাসা হোক রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনিতী
অলিখিত সংবিধান থকুক সবার মনে।
জননীর সন্তানেরা হয়ে উঠুক মানুষ এবং কবি।
অভিধান থেকে মুছে যাক সব মিথ্য শব্দ,
প্রেমে পূর্ণ হোক সবার ঈশ্বর।
লকার
মাঝে মাঝে ভুলে যাওয়া স্মৃতিরা ভীর করে,
আসলে কিছুই ভুলে যাওয়া হয় না,
জ্যোৎস্না চাঁদ রাতের তারা যেমন ফিরে ফিরে আাসে
তেমনী আসো যাও, বলে যাও কানে কানে
যেমন বাতাস কথা বলে পাতার সাথে
ঝড়ে যাওয়া পাতার দোলনায় দোল খেতে খেতে
মাটির কাছে আস্রয় খুঁজে নেয় মন।
এই শহর একই রাস্তার বাঁকে বাঁকে
ভাঁজে ভাঁজে ফিস ফিস করে ডাকে।
গল্পের নায়কেরা মিলিয়ে যায় অন্ধকারে
না দেখা স্বপ্নেরা সত্য হয় উল্লাস করে।
ফিরে গেছো দূর পাহাড়ে বৃস্টিতে ভিজেছো
ঠান্ডা লাগার ভয় আর করে না এখন
নিস্তধবতার ডানায় একাকিত্বের প্রদিপ
পৃথিবীর পথে সঙ্গী কিছু জমিয়ে রাখা স্মৃতির থলে।
রোমন্থনের সমীকরণে পরম মানের অমিল
কিছু একটা শব্দে পাতা উল্টে বাস্তবের আলাপ।
রং টা ফিকে হয়ে গেছে মনেহয়
না বরং গাড় প্রশ্বাস এ সময় পার হয়।
বৃস্টি নামে প্রচণ্ড ভাবে
অন্ধকারের বুকে উৎসব থেমে যায়।
ধাধার মতো করে সময় এগোলো
উত্তর খোজ হলো না এখনো
থাক না কিছু সময় এমন
একান্তে কেবলি নিজের সাথে।
স্ট্রেইট
পুঁজির জোরে নোংরা কথা বলছেন
ব্যাটা স্যার
দাস আমি আজ করবোটা কি?
বলছি জি স্যার জি স্যার।
নোংরা মানুষ নোংরা জীবন
পোষাক টা শুধু সাদা।
কয়লা কালো মনের ভিতর
পোষে ঘৃণার ভাষা
ছড়ায় ঘৃণা সকল সময়।
বলে মানুষ না তুই দাস।
পুঁজির জোরেই নস্ট হলো
মানুষ যা ছিলো বাংলাদেশে।
স্ট্রেইট