একটি নদী আর বনভূমির কথা বলছি
আমি বাড়ি এসে
জানলায় উঁকি দিলে দেখতে পাই
একটা অর্ধেক জলের নদী
ওপারে বিকালের
রোদমাখা এক নির্জন বনভূমি!
সকলেই বলছে
এখানে কোন নদী নেই; বনভূমি তো দূরের কথা আর জলের কথাও অস্বীকার করে কথা বলছে সকলেই।
অথচ আমি জোর দিয়ে বলছি, আছে।
আমি কখনো মিথ্যা বলি না সে কথা ঘাস-ফড়িং পর্যন্ত জানে।
তাহলে কি সকলে আমার স্মৃতি নিয়ে কথা বলাবলি করছে আড়ালে-আবডালে?
উঠতি বয়স
বন্ধু দু’জন মিলিয়া
পাকা কলা ছিলিয়া
খায় টপাটপ গিলিয়া
মুচকি হাসি হাসিয়া
একটুখানি কাসিয়া
গল্পে থাকে ভাসিয়া
লেখা-পড়া ভুলিয়া
দুইজনে প্রাণ খুলিয়া
স্বপ্নে বেড়ায় দুলিয়া
উঠতি বয়স চুটিয়া
মজা মারে লুটিয়া
গোপনে সব জুটিয়া।
টাউটগিরি
আমদানী হয় গাঁ’য়,
নতুন জুতা পায়।
দোকান বাকি খা্য়,
একাই বলে যায়।
গরম কথা বলে,
গাঁ-র চায়ের স্টলে।
বাকির খাতা ভারি ,
উল্টো ফেরৎ ঝারি!
পরের মাসে আউট,
বুঝলো সবাই টাউট।
সত্য পকেটে রাখিতেন
সত্যরে তিনি পকেটে রাখিয়া চলিতেন
মিথ্যারে তিনি সত্যের মতোই বলিতেন
প্রশ্ন রাখিলে রোষের আগুনে জ্বলিতেন
প্রতিবাদ কেউ করিলে ধরিয়া ডলিতেন
সুযোগ পাইলে অযথাই দু’কান মলিতেন
কাহারো ভয়ে কভু-কোনদিন না টলিতেন।
মিথ্যার ফিতায় সত্যরে তিনি মাপিতেন
সত্যরে তিনি পকেটে রাখিয়া কাঁপিতেন
এইভাবে তিনি বিত্ত-বৈভবে ফাঁপিতেন
নড়িলে সত্য, একহাতে গোপনে চাপিতেন
কথায়, লেখায় কেবল অসত্য ছাপিতেন
সারাটা জীবন এইভাবে তিনি যাপিতেন।