শিক্ষককে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর স্ট্যাটাস
সাংবাদিকের নামে থানায় জিডি
গুরুদাসপুর, নাটোর, নিউজ:
নাটোরের গুরুদাসপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রোজী মোজাম্মেল মহিলা কলেজের প্রভাষক মাজেম আলী মলিনকে নিয়ে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেওয়ায় সাংবাদিক এম এম আলী আক্কাছ এর নামে গুরুদাসপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি(জিডি) করেছেন ভুক্তভুগি শিক্ষক মাজেম আলী মলিন। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে ওই সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
শিক্ষক মাজেম আলী জানান, নারী উচ্চ শিক্ষার একমাত্র প্রতিষ্ঠান রোজী মোজাম্মেল মহিলা কলেজ। তিনি ওই কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকেই তিনি নিষ্ঠার সাথে ২১ বছর যাবত নিজের দায়িত্ব কর্তব্য পালন করে আসছেন। বিগত দিনে তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ ছিলো না।
গত ২০ নভেম্বর কলেজ সংক্রান্ত বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রুহুল করিম আব্বাসী বিধি বহির্ভুতভাবে তাকে শোকজ প্রদান করেন। শোকজে কোন প্রকার নারী কেলেঙ্কারীর মত কোন ঘটনা উল্লেখ্য করা হয়নি। করা হয়েছে সন্দেহ জনক ভাবে। কিন্তু তাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে নিজ স্বার্থ হাচিলের জন্য কালেরকণ্ঠের গুরুদাসপুর উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক এম এম আলী আক্কাছ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি ও তারই পরিচালিত চলনবিল প্রেসক্লাবের ফেসবুক পেইজে “নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় প্রভাষক মাজেম আলী মলিনকে শোকজ” শিরোনামে তার ছবিসহ একটি আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেয়। যা সম্পুর্ন মিথ্যা ভিত্তিহীন এবং শুধু মাত্র অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই না। ডিজিটাল মাধ্যমে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক ভাবে এই স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে যা আইটি আইনের আওতায় পরে।
সাংবাদিক এম এম আলী আক্কাছের মুঠোফনে ফোন দিলে তিনি সাক্ষাত করলে বক্তব্য দিবেন বলে জানান।
রোজী মোজাম্মেল মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রুহুল করিম আব্বাসী জানান, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রাথমিক ভাবে তাকে রহস্যজনক কারণে শোকজ করা হয়েছে। তবে কোন নারী কেলেঙ্কারীর কথা শোকজ চিঠিতে লেখা বা বলা হয়নি।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আব্দুল মতিন জানান, ডিজিটাল মাধ্যমে সামাজিক ভাবে হেয় করার অভিযোগে একটি জিডি নেওয়া হয়েছে। প্রভাষক মাজেম আলী মলিন বাদি হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডি ও পেইজের স্ক্রিনশট সহকারে সাংবাদিক এম এম আলী আক্কাছের নামে ওই জিডি দায়ের করেছেন।