স্বপ্নগুলো মরে যায় অন্ধকারে
দেবাশীষ সরকার
কৃষকের উঠোনে এক ঝাঁক তিতিরের ঘুড়ে বেড়ানো দেখে, আমার কৃষক হতে বড় সাধ জাগে। হাতের সানকি থেকে যখন খাবার দেবো ওদের, হয়তো এক ঝাঁক কবুতরও এসে জুটবে সাথে, কিংবা মুরগির পাল, হাঁসের দলও পিছিয়ে রইবে না হয়তো। সবচেয়ে উচুঁ গলাছিলা মোরগটা তখন গর্বে মাথা উচিঁয়ে ডেকে উঠবে বেলা শেষের আনন্দে। আমি তো হাতে খাবার রেখে হাতটাকে বাড়িয়ে দেবো সামনে, আমাকে ভালোবেসে কোন কোন সাহসি হাতের উপর বসেই খাবে খাবার।
এসব কল্পনায় চলন্ত মোটর বাইকের গতি আজকাল মাঝে মাঝে যায় কমে। চলন্ত ছুটেচলা এই গতির জীবন থেকে একটু অবসরে আধভেজা জমির খেতে নিড়ানি হাতে কাটাতে চায় সকাল দুপুর বিকেল নামা সন্ধ্যার আলো ছায়ায়।
যুদ্ধবাজ সময়টা বড় বেরহম! দেহের শক্তিতে আনে শিতলতা, রক্তের ধমনীগুলো কি আজকাল সংকুচিত হয়ে পড়ছে! কি জানি! হৃদয়ের গহীনে কোন জঞ্জাল বাসা বেঁধেছে কি না?
তবুও সাত বছর পার করে আসা নতুন কপোত কপোতীর প্রেমের উচ্ছ্বাস দেখে ক্যানভাসে আঁকা হয় নতুন ছবি নতুন কোন দিনের।
তবু বেলা শেষে স্বপ্নগুলো মরে যায়, যায় হারিয়ে স্মৃতির গহীন অন্ধকারে, নিষ্ঠুর ঋণ মনে করে দেয় কর্মমুখর রাতের কথা, ভোরের কথা, শুরু হয় সূর্য উঠা প্রথম প্রহরে আবারো শেষ না হওয়া নিরব ছুটে চলা…