সেইসব দিনে
রহমান হেনরী
একেকটা প্রেম ভেঙে গেলে
অন্তত দশ বছর বেড়ে যেতো আয়ু
আমরা তখন দিনমান
ভাঙারির দোকানে: বিজ্ঞানী ও গবেষক
বেছে বেছে কিনতাম সম্ভাবনাময় খণ্ডিতাংশ
এভাবে, পুনর্নির্মিত একটা
সাইকেলে চেপে
কয়েক বছর: ঈশ্বরগঞ্জ-ত্রিশাল-ফুলবাড়ি-গৌরিপুর
কাচিঝুলি টু সুতিয়াখালি,
সানকিপাড়া টু ব্রহ্মপল্লী
মিন্টু কলেজের পাশ দিয়ে গাঙ্গিনার পাড়; দূর্গাবাড়ি-আমলাপাড়া হয়ে মৃত্যুঞ্জয়ী স্কুল গলিতে এসেই,
হাপিয়ে যেতো বেচারা দ্বিচক্র-বেক্কল!
বিদ্যাময়ী স্কুলের বিকেলে, কবিতা এখন হয়তো আর
সে রকম চর্চিত হচ্ছে না। প্রিয় ছাত্রছাত্রিদের মধ্যে পার্থ-সমীরণ, বিথী, তুলসি কিংবা আরও অনেকেই কি আজকাল অস্ট্রেলিয়ায়?
আমার সেই স্মৃতিকাতর সাইকেলের কোনও একটা খণ্ডাংশ
হয়তো টাউন হল চত্বরে কিংবা গোলকিবাড়িতে
এখনও অশ্রু-মরিচা মোছে, পুরনো ন্যাকরায়;
অথচ
উনত্রিশ বছরেও, আর কোনও ভাঙারির দোকানে
খুঁজে পাচ্ছি না তার বাকি অংশগুলোর কোনটাই!