নাটোর নিউজ: নাটোরের বড়াইগ্রামের নগর ইউনিয়নে দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাছাকাছি থাকায় একটি ইটভাটা বন্ধ করে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ওই ইউনিয়নের নগর গ্রামে অবস্থিত দীর্ঘ ১০ বছরের পুরানো জেড. কে. এস ব্রিকস্ নামে ইটভাটাটি পরিবেশগত ছাড়পত্র নবায়নের জন্য আবেদন করলে পরিবেশ অধিদপ্তর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাছাকাছি থাকার কারণ দেখিয়ে ছাড়পত্র দেয়নি। ফলে সম্প্রতি ইটভাটাটি বন্ধ রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় কৃষকেরাও ওই ইটভাটা সংলগ্ন জমিতে ফসল ও বাড়ীর অন্যান্য গাছপালা ক্ষতি হচ্ছে মর্মে অভিযোগ দায়ের করলে পরিবেশ অধিদপ্তর তা আমলে নিয়ে দ্রুত ইটভাটার সকল কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
অধিপ্তরের উপ-পরিচালক মামুনুর রশিদের স্বাক্ষরিত নির্দেশ নামায় ইটভাটার অতি কাছাকাছি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডার গার্টেন থাকায় ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন (সংশোধনী) ২০১৯ অনুযায়ী বিধি সম্মত না থাকায় ভাটাটি বর্তমান স্থান থেকে উপযুক্ত স্থানে স্থানান্তর করে পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ করে পরিচালনা করার নির্দেশ দেন।
ভাটাটির পরিচালক বার্ণাড গমেজ জানান, এই ভাটাটি আমি প্রকৃত মালিক জাহিদুল ইসলামের কাছ থেকে তিন বছরের জন্য ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করে আসছি। দুই বছর পার হওয়ার পার নতুন করে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করলে পরিবেশ অধিদপ্তর এই নির্দেশ প্রদান করেন। গত দুই বছরে উদপাদিত ৩ লক্ষাধিক তৈরী ইট এখনও ভাটায় মজুদ রয়েছে। ভাটা বন্ধ হওয়ার পর মালিককে এ বিষয়ে অবগত করলে তিনি বাকী এক বছরের ভাড়া পরিশোধ করতে বলেন। সরকারী সিদ্ধান্তের কারণে একদিকে ভাটার ভাড়াটিয়া হিসেবে আমি আর্থিকভাবে দারুণ ক্ষতির শিকার হয়েছি। অপরদিকে বাকী এক বছর ভাটা চালাতেই হবে বলে মালিক জোরপূর্বক মজুদকৃত ইট আটকে রেখেছে।
এ ব্যাপারে ভাটার মালিক জাহিদুল ইসলাম জানান, এ ক্ষতির ভাগ আমি নিতে পারবো না। পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছ থেকে ছাড়পত্র না পাওয়ার ব্যর্থতা তার।
নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়াসিন আলী সরকার জানান, স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্ত করার পর পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র দেয়নি। ইটভাটার মালিক যেহেতু যথাযথ স্থানে ভাটাটি স্থাপন করেননি তাই এই বন্ধ হওয়া ও আর্থিক ক্ষতি হওয়ার দায়ভার তার।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম মৃধা জানান, ভাটার মালিক ও ভাড়াটিয়া দুইজনই এ ব্যাপারে থানাকে অবগত করেছে। এ সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।