গুরুদাসপুরে গৃহবধুকে সিগারেট ও কয়েলের আগুন দিয়ে ছ্যাকা দেওয়ার অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার নাটোর
নাটোরের গুরুদাসপুরে শিউলি আক্তার মিতা (২১) নামের এক গৃহবধুকে সিগারেট ও কয়েলের আগুনের ছঁ্যাকা দিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মমিন আলীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের দাদুয়া গ্রামে। শিউলি আক্তার খাকড়াদহ এলাকার মোনতাজ সরদারের মেয়ে। অভিযুক্ত মোমিন আলী পাশ্ববর্তী এলাকা দাদুয়া গ্রামের জলিল আলীর ছেলে।
শিউলি আক্তার মিতা জানান, তার স্বামী মোমিন আলী মাদকাশক্ত। প্রতিদিন নেশা করে বাড়ি ফিরে। প্রতিবাদ করলেই বিভিন্ন সময় তাকে বিভিন্ন ভাবে মারধন করে। গত ৭-৮ মাস আগে নেশা করতে নিষেধ করায় সিগারেটের আগুনে বাম হাতের বিভিন্ন জায়গায় ছঁ্যাকা দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পারিবারিক শালিশে সেই সময় ক্ষমা চেয়ে আবারো সংসার শুরু করেন তিনি। কিছুদিন যাওয়ার পর গত ২১ অক্টোবর দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে ঢাকায় ভাড়া বাসায় থাকাকালিন সময়ে তার স্বামী তার দুই হাত খাটের সাথে বেধে জোড়পুর্বক ডান হাত ও বাম হাতের ২১ জায়গায় কয়েলের আগুনের ছ্যাকা দেয়। তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে সেখান থেকে পালিয়ে নিজের গ্রামের বাসায় চলে আসেন। তিনি তার স্বামীর দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানান।
শিউলি আক্তারের বাবা মোনতাজ সরদার জানান, গত ৫ বছর আগে তার মেয়েকে দাদুয়া গ্রামের জলিলের ছেলে মোমিনের সাথে বিয়ে দেন। সংসার করার দুই বছর পর তাদের ঘরে পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করেন। বাচ্চা জন্মগ্রহনের পর থেকেই তার মেয়েকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তার মেয়ের সাথে এমন বর্বর নির্যাতনের বিচার চান তিনি।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আব্দুল মতিন জানান, গৃহবধু শিউলি আক্তারের সাথে ঢাকায় ভাড়া বাসায় থাকাকালিন সময়ে তার স্বামী তাকে নির্যাতন করেছে বলে দাবি করেন গৃহবধু। ঘটনা যেখানে ঘটেছে সেখানকার সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করতে হবে। মামলা হলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।