Homeগুরুত্বপূর্ণবাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাড়া ফ্যান আর হাতপাখাই ভরসা

বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাড়া ফ্যান আর হাতপাখাই ভরসা

নাটোর নিউজ বাগাতিপাড়া : নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার ৩১ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাপসা গরমে ভাড়া ফ্যান অথবা হাতপাখার বাতাসই রোগীদের ভরসা। হাসপাতালটির মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডে মোট ১৪ টি ফ্যানের মধ্যে ৬টি ফ্যান সচল থাকলেও বাঁকি ৪ টি নষ্ট এবং ৪ টি ফ্যান টানানোই নাই। ফলে এই গরমে রোগীদের সীমাহীন দ‚র্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
হাসপাতাল স‚ত্রে জানা গেছে, ফ্যান গুলো অনেক পুরাতন হওয়ায় মাঝে মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। সেগুলো আবার মেরামত করে লাগালেও বেশি দিন টিকেনা। বিষয় গুলো উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালে অল্পদিনের মধ্যে নতুন ফ্যান দিবে বলে জানালে সেগুলো আর ঠিক করা হয়নি। ফলে রোগীদের সাময়িক দ‚র্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গতশুক্রবার সন্ধায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে মোট রুগীর সংখ্যা ৩১ জন,মোট ফ্যানের সংখ্যা ১৪টি।ফ্যান চালছে ৬ টি। নষ্ট হয়ে পড়ে আছে ৮ টি, প্রতিটি রুগী হাত পাখা দিয়ে বাতাস করছে, ৩১ জন্য রুগীর জন্য এক জন নার্স,টয়লেটের দুর্গন্ধে রুগীরা অতিষ্ঠ।অনেকেই ফ্যান বাড়ি থেকে এনে চালাচ্ছে। কেউ কেউ ফ্যান ভাড়া করে এনেছে।
সোনাপুর গ্রামের ষাটোর্ধ্ব বয়সের আতাহার আলী বলেন, চারদিন আগে তিনি এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁর বেডের আশে পাশে কোন ফ্যান না থাকায় গরমে না থাকতে পেরে একটি ফ্যান ভাড়া করে নিয়ে এসেছেন। এখন তিনি সেই ফ্যানের বাতাসে একটু স্বস্তিতে রয়েছেন। মাছিমপুর গ্রামের হেলেনা বেগম বলেন, তিনি নয়দিন থেকে এই হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে আছেন। হাসপাতালের ফ্যান ভালো না থাকায় তাঁর স্বজনরা বাহিরে থেকে একটি ফ্যান এনে দিয়েছেন।
হাসপাতালের সিনিয়র মেকানিক জিয়াউর রহমান বলেন, আমি দীর্ঘদিন থেকে হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট মৌখিক ভাবে বলার পরে কিছুদিন আগে লিখিত একটি চাহিদা পাঠিয়েছি। এবং আমাদের টিএসও স্যারকেও বিষয় গুলো অবগত করেছি।। উনারা দিবো-দিচ্ছি করে এখনও দেয়নি। শেষ পর্যন্ত টিএসও স্যার আমাদের পুরোনো ফ্যান গুলোই মেরামত করে সেগুলো লাগাতে বলেছেন। কালকে সেগুলো মেরামত করতে দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রতন কুমার সাহা বলেন, আমাদের হাসপালের নতুন ভবনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। তাই পরোনো ভবনটির সবকিছু এলোমেলো হয়ে আছে। তার পরও এটি হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের দায়িত্ব। তাঁদেরকে বিষটি অবগত করা হয়েছে।
নাটোর জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আব্দুল কাদের বলেন, বাগাতিপাড়া থেকে আমরা চাহিদা পেয়েছি, সেখানে অনেকগুলো ফ্যান লাগবে। তবে আগের কতগুলো ফ্যান ভালো আছে এবং নতুন কতগুলো লাগবে সেটা আগে দেখতে হবে। আর রোগীদের ভোগান্তির কথা ভেবে দ্রুত ১০টি ফ্যান পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমি আগামীকাল রোববার ডিসি অফিসের মিটিং শেষে বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে বিষয়টি সুরাহা করে আসবো।
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments