নাটোর নিউজ নলডাঙ্গা: পরকীয়া ঘটনায় নাটোরের নলডাঙ্গায় পল্লী চিকিৎসক রহিদুল ইসলাম কে ফালা ও ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলার মুল আসামী মহসিন আলী ভুট্রু কে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে আটক করে সন্ধ্যায় নলডাঙ্গা থানায় আনা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পল্লীচিকিৎসক রহিদুল ইসলাম কে হত্যার সাথে জরিত থাকার কথা স্বীকার করেছে আসামী মহসিন আলী ভুট্রু।বুধবার আসামী মহসিন আলী ভুট্রুর জবানবন্দি রের্কড করার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।গত সোমবার পল্লীচিকিৎসক রহিদুল ইসলাম কে হত্যার করার ঘটনায় তার ভাই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে মহসিন আলী ভুট্রুকে প্রধান আসামী করে নলডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।গ্রেপ্তারকৃত আসামী মহসিন আলী ভুট্রু (৩৮) উপজেলার কোমরপুর গ্রামের মকসেদ আলীর ছেলে।
নলডাঙ্গা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়,মঙ্গলবার গোপন সংবাদে গত মঙ্গলবার নলডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামী মহসিন আলী ভুট্রুকে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে নলডাঙ্গা থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় পল্লীচিকিৎসক রহিদুল ইসলামের ভাই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে মহসিন আলী ভুট্রুকে প্রধান আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, আসামী মহসিন আলী ভুট্রুকে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী মহসিন আলী তার স্ত্রীর সাথে পল্লীচিকিৎসক রহিদুলের পরকীয়া সম্পর্কের কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে ফালা ও ছরিকাঘাত করে হত্যা করে।
উল্লেখ্য,গত ২৭ সেপ্টম্বর সোমবার রাত ৯ টার দিকে পল্লীচিকিৎসক রহিদুল ইসলাম বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে আসামী মহসিন আলী ভুট্রুর স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে ফালা ও ছুরিকাঘাত করে পেটে গুরুতর জখম করে।ফালার আঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় রহিদুল ইসলাম কে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে তার স্বজনরা।ঘটনার ৭ দিন পর গত ৩ অক্টোবর রোববার রাত ১০ টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় পল্লীচিকিৎসক রহিদুল ইসলাম।