নৌকার মাঝি আরজু হত্যার দুই আসামী আটক
নাটোরের সিংড়া উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের নৌকার মাঝি আরজু হত্যার দুই আসামীকে আটক করেছে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ।
তারা হলেন, ফরহাদ এবং রতন।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) রাজশাহীর কাটাখালি বাজার থেকে রাত পৌনে ১২ টায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার দুপুরে (১লা সেপ্টেম্বর) তাদেরকে নাটোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সিংড়া সার্কেল) জামিল আকতার জানান, ঘটনার দিন ৩ জন আসামি নৌকায় বসে গাঁজা সেবন করে। এরপর ফরহাদ তাকে চাইনিজ কুড়াল তারা কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তিনজন মিলে তাকে জীবন্ত অবস্থায় পানিতে ফেলে দেয়। তার লাশ ভেসে উঠলে তারা আত্মগোপনে চলে যায়। তদন্ত শেষে প্রযুক্তির সহায়তায় রবিবার রাতে বাইজিতকে গ্রেফতার করা হয় এবং মঙ্গলবার রাতে অপর দুই আসামীকে রাজশাহীর কাটাখালি থেকে আটক করা হয়েছে। পরে আদালতে পাঠালে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করে।
উল্লেখ্য, সহপাঠীকে উত্ত্যক্ত করা এবং বখাটেপনার প্রতিবাদ করায় মাঝি আরজু মিয়াকে হত্যা করে বাইজিত, ফরহাদ ও রতন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে নিখোঁজ হয় মাঝি আরজু মিয়া। শনিবার সকালে গুরুদাসপুরের বিলশা বিল থেকে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশে আঘাতের চিহ্ন থাকলে ঘটনাটি হত্যাকান্ড বলে মনে হয় পুলিশের। সিংড়া সার্কেলের সিনিয়র এএসপি জামিল আকতারের নেতৃত্বে তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনাটি তদন্ত শেষে রবিবার রাতে প্রযুক্তির সহায়তায় বাইজিত বোস্তামীকে আটক করা হয়। হত্যাকান্ডে জড়িত বাইজিতের দুই বন্ধু ফরহাদ ও রতন পলাতক ছিলেন।
নিহত আরজু মাঝি সিংড়া উপজেলার চামারি ইউনিয়নের আনন্দনগর গ্রামের কদম আলীর ছেলে।