Homeজেলাজুড়েনাটোরে গ্রামবাসীর সহায়তা প্রতিবন্ধীর শরিফুলের বাঁচার স্বপ্ন দেখছে

নাটোরে গ্রামবাসীর সহায়তা প্রতিবন্ধীর শরিফুলের বাঁচার স্বপ্ন দেখছে

নাটোর নিউজ: নাটোরের চক আমহাটি গ্রামবাসীর আর্থিক সহায়তায় ফিরেছে ১হাত হারানো প্রতিবন্ধী শরিফুল ইসলামের বাঁচার স্বপ্ন। সিলভার কারখানায় হাওয়া মেশিনে কাজ করা অবস্থায় হাত হারানো পর চাকুরীচ্যুত হওয়ায় সংসারের নেমে আসে অভাব-অনটন। সমাজ সেবা অফিসের মাধ্যমে তাকে একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দিলেও সামান্য ভাতার টাকায় সংসার চালানো দুসাধ্য হয় এই কারনে স্ত্রী-সন্তান অন্যত্র চলে গেলে একবেলা খেয়ে না খেয়ে চলত তার জীবন। গ্রামবাসীর অর্থিক সহায়তায় একটি দোকানই প্রতিবন্ধীর জীবনে নতুন অধ্যায়ের শুরু হয়েছে। জেগেছে বাঁচার স্বপ্ন।

নাটোর সদর উপজেলার ১নং ছাতনী ইউনিয়নে চক আমহাটি গ্রামে মৃত আজগর আলীর ছেলে মো.শরিফুল ইসলাম। কিশোর বয়সে বাবা-মা কে হারায়। সিলভার কারখানায় সামান্য বেতনে বাবার রেখে যাওয়া ২শতক জমির উপর একটি খড়কুটা ঘরে মাকে নিয়ে বাস করতেন শরিফুল। এক পর্যায়ে বিয়ে করে পুত্র সন্তানের বাবা হন। ভালই চলত তাদের সংসার। সংসারে নেমে আসে তিন বছরের ঝড়। এই ঝড়ে মাকে হারান। কারখানায় কাজ করতে হাত হারিয়ে চাকরীচ্যুত হন। চিকিৎসা করতে সংসারের সমস্ত আসবাবপত্র বিক্রি ও ঋণগ্রস্ত হন। অভাব অনটনের কথা কাউকে বলতেও পারি না। একবেলা খেয়ে কখনও না খেয়ে চলে সংসার। অভাবের তারোনায় স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে অন্যত্র চলে যায় । সব হারিয়ে নিরুপায় হয়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হই সাহায্যের জন্য। সাহায্যার্থে এগিয়ে আসেন এলকাবাসী।

এলাকাাসির পক্ষ থেকে সাহায্যকারী মোঃ হাবিবুল্লাহ পাটোয়ারী জানান, শরিফুলকে সাহায্যর জন্য এগিয়ে আসে নিজ এলাকার মোঃ হাবিবুল্লাহ পাটোয়ারী । শরিফুল ইটের ভাটায় কাজ করতো। এক হাত না থাকায় সেই কাজও হারায়। মোঃ হাবিবুল্লাহ পাটোয়ারী নিজ এলাকা মুক্তিযোদ্ধা ,বন্ধুবান্ধব সহ মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘরে বাঁশ ,কাঠের জন্য গাছ, ইট , ৩০ বস্তা সিমেট চেয়ে, ,এলাকার দোকানদার ,ব্যবসাযীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে একটি টিউবয়েল , ৪বান্ডীল টিন সংগ্রহ করে একটি সোয়ার ঘর তৈরী করা হয় কিন্ত ঘরে থাকার মত আসবাবপত্র নেই তিনি সমাজের বৃত্তবানদের কাছে সাহায্যর আবেদন করেন ও ছোট্র একটি চায়ের দোকান তৈরী করে দেয়।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও সাবেক মেম্বার সহ গর্নমান্যব্যক্তি বর্গ সবাই মিলে বিভিন্ন হাবু পাটোয়ারীর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রকরে এই পর্যন্ত করে দিয়েছে। এখন তাদের দাবী তার থাকার ঘরে সোয়ার জন্য একটি চৌকি বা আসবাবপত্র সংগ্রহের জন্য ধন্যদ্ধ ব্যক্তিদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন।

ৱজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শরিফুল ইসলাম এক হাত হারীয়ে যখন প্রতিবন্ধী হয় তারপরে যখন অর্থউপার্জনে অক্ষম হয় ঠিক তখন তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। সমাজসেবা অফিসে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করলে আমরা তাকে ভাতার ব্যবস্থা করে দিই কিন্তু মাসিক ভাতা মাত্র ৭শত টাকা দিয়ে কি হয়। এলাকাবাসি শরিফুলের দুঃখ লাঘবে একটি দোকান করে দিয়ে তাকে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন করে দিয়েছে। এই কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামকে ৫% হারে সুদে লোন দেয়ার জন্য আহবান করেন। এবং সমাজের বৃত্তবান দেন তাদের পাশে দাঁরানো আহবান করেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments