Homeজেলাজুড়েবাগাতিপাড়ায় ফার্মেসি গুলোতে মিলছে না প্যারাসিটামল

বাগাতিপাড়ায় ফার্মেসি গুলোতে মিলছে না প্যারাসিটামল

নাটোর নিউজ বাগাতিপাড়া : নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় দিন দিন করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলা হাসপাতালে বেড়েই চলেছে রোগীর চাপ, সেই সাথে বাড়ছে প্রয়োজনীয় ঔষধের চাহিদা। করোনায় আক্রান্ত রোগীর পাশাপাশি সাধারণ রোগীর চাহিদা অনুযায়ী নাপা, নাপা এক্সট্রা, নাপা এক্সটেন্ড, এইচ প্লাস, নাপা সিরাপসহ প্যারাসিটামল। জাতীয় কয়েকটি ঔষধ কোম্পানির ঔষধ সংকট দেখা দিয়েছে উপজেলার ফার্মেসীগুলোতে। চারিদিকে করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও যখন বাড়ছে তখন প্যারাসিটামল জাতীয় এই ঔষধ গুলোর সরবরাহ না থাকায় ভোগান্তি বাড়ছে মানুষের।

বুধবার (০৪ আগস্ট) দুপুরে জ্বরের ঔষধ এইচ প্লাসের জন্য এক ফার্মেসী থেকে অন্য ফার্মেসি ঘুরছিলেন বিহারকোল বাজার এলাকার রাজু আহমেদ। বেশ কয়েকটি ফার্মেসি ঘুরে জ্বরের জন্য এইচ প্লাস খুঁজে পাননি তিনি।

কয়েকটি এলাকায় চাহিদা পত্র নিয়ে দোকানে দোকানে ঘুরেও ওষুধ না পাওয়া নাজমা বেগম বলেন, সাত বছরের ছেলের জ্বরের জন্য ঔষধ নিতে এসেছিলাম। কিন্তু বড় বড় কয়েকটি ফার্মেসি ঘুরেও পর্যাপ্ত ঔষধ মিলেনি। পৌর বাজারে একটি ফার্মেসিতে জ্বরের ঔষধ খুঁজতে ছিলেন ইনামুল মাস্টার নামের একজন। তিনি জানান, বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে এক পাতা নাপা ঔষধ সংগ্রহ করেছি। তবুও বেশিদামে। মালঞ্চি বাজারের সিয়াম ফার্মেসির মালিক রাজু বলেন, ‘জ্বরের ঔষধ এইস, এইস প্লাস, এইচ এক্স আর ট্যাবলেট, ফাস্ট, ফাস্ট এক্স আর ঔষধেরও সংকট আছে। কোম্পানি যে পরিমাণ ঔষধ সরবরাহ করে তা চাহিদার তুলনায় একেবারে অপ্রতুল। গত ১০ থেকে ১২ দিন ধরে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই কোম্পানি গুলোতে ওষুধের জন্য তাগিদ দেয়া হচ্ছে। তবে সরবরাহ না থাকায় আমাদেরও কিছু করার থাকছে না।

তমালতলা বাজারের আরিফ ফার্মেসির মালিক চাঁন মিয়া বলেন, হঠাৎ করে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে জ্বরের ওষুধের চাহিদা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। আপাতত নাপা ও এইস গ্রুপের অন্য ঔষধ দিয়ে ক্রেতাদের বিদায় করা হচ্ছে। আরও বেশী সময় নাপা ও এইস ট্যাবলেট ও সিরাপের সরবরাহ না থাকলে ভোগান্তি বাড়বে। উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত আনজুম অনন্যা বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফার্মেসী গুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। কোন ফার্মেসীতে এই ঔষধগুলোর কৃত্রিম সংকট তৈরী করলে এবং বেশি দামে বিক্রির প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রতন কুমার সাহা বলেন, বাজারে প্যারাসিটামল গ্রুপের ঔষধের সঙ্কট থাকার কথানয়। তবুও কোনো ফার্মেসীতে এই ঔষধগুলোর কৃত্রিম সংকট তৈরী করলে ফার্মেসী গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments