নাটোরে গণ টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন, টিকা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে বহু মানুষ
নাটোর নিউজ:
নাটোরে কোভিশিল্ডের ২য় পর্যায়ের কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন প্রদানের উদ্বোধন করা হয়েছে। নলডাঙ্গা উপজেলা বাদে জেলার ৬ টি উপজেলার ৪৫ টি ইউনিয়ন ও ৭ টি পৌরসভায় ২৫ ঊর্দ্ধ বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী এবং নারীদের এই ভ্যাক্সিন প্রদান কর্মসুচির উদ্বোধন করা হয়। আজ শনিবার সকাল ৯ টা থেকে নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের শিবদূর গ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ভ্যাক্সিন প্রদান কর্মসুচির উদ্বোধন করেন নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, সিভিল সার্জন ডাঃ কাজী মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুবুর রহমানসহ কর্মকর্তাবৃন্দ।
সিভিল সার্জন ডাঃ কাজী মিজানুর রহমান জানান, আজ শনিবার নলডাঙ্গা উপজেলা বাদে জেলার ৬ টি উপজেলার ৪৫ টি ইউনিয়ন ও ৭ টি পৌরসভায় এই ভ্যাক্সিন প্রদান কর্মসুচির উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে ১ টি করে এবং ৭ টি পৌরসভার সবক’টি ওয়ার্ডে ১টি করে কেন্দ্রে এই ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে। প্রতিটি কেন্দ্র তিনটি করে বুথে ৩ জন করে ভ্যাক্সিন প্রদানকারী ও তিন জন করে স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। আজ শনিবার মোট ৩১ হাজার ২শ’ জনকে এ্ই ভ্যাক্সিন প্রদান করা হবে।
সকাল থেকেই প্রতিটা কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। টিকা নিতে কেন্দ্র গুলোতে যে পরিমাণ মানুষ জমা হয়েছে তার থেকে টিকার সংখ্যা অনেক কম হওয়ায় দুর্ভোগ-ভোগান্তি ও ক্ষোভ তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের মধ্যে। এদিকে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে পর্যায়ক্রমে সকল টিকার আওতায় আনা হবে। সামান্যতম এই ভোগান্তি মেনে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। তাছাড়া জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে পূর্বেই বলা হয়েছিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বয়স্ক, নারী ও প্রতিবন্ধীদের আগে টিকা দেয়া হবে সে অনুপাতে টিকা কার্যক্রম চলছে। কোন কোন কেন্দ্রে অসন্তোষ দেখা দিলে তা প্রশাসন কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের দ্বারা তার নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে নাটোরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। আজ শনিবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে সিভিল সার্জন অফিস। এনিয়ে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩১ জনে। গতকাল শুক্রবার জেলায় কোন নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি তাই আক্রান্তের সংখ্যা জানা যায়নি।
জেলায় এ পর্যন্ত ২৬৯১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে মোট আক্রান্ত ৭২৩২ জন। সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪৩৮০জন।