Homeমুক্তমতপরিমনির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি - দেবাশীষ সরকার 

পরিমনির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি – দেবাশীষ সরকার 

পরিমনির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি – দেবাশীষ সরকার
আমরা আসলে আজিব চিজ…..ভিপিএন আছে আমাদের সবার ফোনে, বন্ধুদের নিয়ে মজা মাস্তি সবাই করি…কোন অকেসান বাদ যায় না । চলচিত্র জগৎ কবে কোন কালে ধোয়া তুলসি পাতা ছিলো জানি না … কদিন আগে মহানগর চলচিত্র দেখেছি , সেখানে বাস্তবতা কতো সুন্দর ফুটে উঠেছে। পরী মনিরা কবে কোন কালে ভালো ছিলো ? কারা আসলে মনোরঞ্জন করে ? করতে পারে ? সমাজে তাদের প্রোয়জন কি ?
পাশের দেশে সানি লিওন, নোরা ফাতিহারা বসবাস করে, সফলতার গল্প লেখা হয় তাদের, আমরা তাদের দেখি আলোচনা করি, হয়তো বাহবাও দেই, আর আমাদের সানি লিওন, নোরা ফাতিহারা বেচে থাকলে কদর পায় না , মারা গেলে শ্মশান পায়না, আসলে আজব প্রাণি মাইরি আমরা ….এমনিতেই শেষ দিকে এদেশের চলচিত্র শিল্প এবার বিদায়ের পালা….
অন্য কিছুকে আড়াল করবার জন্য আজ পরীমনিকে আটক করা হয়েছে। আমরা দেখতে পাই সবসময়ই ছিঁচকে চোর, ছোট চোরাকারবারী মাদক ব্যবসায়ী আটক হয় কিন্তু রাঘববোয়ালরা সবসময় আড়ালেই থেকে যায়। পরীমনি কাদের সৃষ্টি? কেন পরিমনির বলি হবে? সমাজে পরিমনির প্রয়োজন রয়েছে। পরিমনির বাড়িতে মাদকের উৎস অন্য কিছু। এর জন্য দায়ী পরীমনি হতে পারেন না। কোনমতেই বড় কোন কিছু কি আড়াল করার চেষ্টা জনগনকে ধোকা দেওয়া কোনোভাবেই ঠিক হবে না। পরিমনির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।
এমনিতেই তো বাংলাদেশের শিল্প ধ্বংস হয়ে গেছে। বিভিন্ন নিষেধের বেড়াজালে আটকে পড়েছে শিল্প-সংস্কৃতি। চালু হয়েছে মূর্তি ভাঙার সংস্কৃতি। যারা শিল্প কি জানেনা, শিল্পের মানে বোঝেনা সে জাতি আর যাই হোক সামনে এগোনোর পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
 এ প্রসংঙ্গে ফেসবুকে কবি দেবব্রত সুবীর লিখেছেন-
” ব্রথেল হাউজ, বেশ্যালয়, বেশ্যা, এগুলো কাদের লাগে?

নুনূর্ষদের ই তো লাগে, বাংলায় কথা আছে, আমরা বাঁচি ঐডা আর পেটের লাগি, দেশে কোন ইশ্যু নাই,
হিসু দেওয়া নিয়া টেনশনে পরছে দেশ, আহরে তেলেশমাতি কান্ড।
পরিমনি কয়দিন আগে আগুন নিয়া খেলছে, তার ফলাফল এখন এই। জাতি এখন নির্লজ্জ প্রতিহিংসা পরায়ন আচরন করছে। আগের দুজন মডেল কে ধরার পরের ব্রিফিং এ, বললেন, যে ধনী বাপ, মায়ের, সন্তানের এদের কাছে আসে, ব্লাকমেইল করে টাকা নেয়,আপনাগো পোলা নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন না, সেই দোষে কার কাছে যায় তার দোষ, নৈতিকতা র চরম শিক্ষা দেখাইলো, সেই সব অভিযোগ না দেখাইয়া, হুূাদাই গ্রপ্তার, তাই রাস্ট্রে খুব নাখোন হইয়া ঐ দুজন রে, জেলে দিলো, বাহ। আজকে আবার পরিরে গ্রেপ্তার করলো, বিশাল মদের ভান্ডার পাইলো, এগুলো অবৈধ, এই মদ আমদানি করে তো ঐ বড় মাপের, ধন আলারা, সবার একটা লিমিট থাকা উচিৎ।
রাস্ট্র এদের নিয়া এত টেনশনে কেন, কত কিছু ভাইস্যা যায় রে কত কিছু, আগামী কাল কি হবে
রাস্ট্রের কাছে সাধারন এর চাওয়া টা কি? নিজের মধ্য ঝগড়া দেখা। না কি, দেশের প্রথম সারির নায়িকা মানে হচ্ছে জনগনের ভালোলাগার জায়গা, প্রধানমন্ত্রী, কাদের, সহ, আর ২/৪ জনের নাম জনগন জানে, পরির নাম জনে পুরা বাংলা, চিৎ করা জগৎ এ সবাই চিৎ হইয়া থাকে সবাই। দেশে সিনেমা বানাবেন না বললেই হয়, দেশে চলচিএ আমদানি করার ঘটনাতেই বঝছিলাম গেল সিনেমা, আরেক টা কথা ব্রনেই এ শরিয়া আইন চালু থাকায় তাদের দেশের ব্যবসায়ী বা ধণীরা, মদ,নারী নিয়া ফুর্তি করতে মালোএশিয়া যায়, করোনাই কাল হইছে আসলে, থাইল্যান্ড, ইন্ডিয়া বন্ধ হওয়াতে ভোক্তাদের লাইনে বিভ্রাট ঘটেছে, তাই এত সব ঘটছে এদেশে।
মিডিয়া চায়নার মত নিয়ন্ত্রণ জরুরী, সেটা মৌলিক চাহিদা পুরনের পরে, এখন ভবো রঙ্গ নাট্যমঞ্চ চলুক, ব্যক্তিগত জীবনে ১৮ কোটির মধ্য ১৫% শান্তিতে আছে, বাকি ৮৫% এর দায় কি, বাচ্চাদের সামনে এসব নিউজ দেখাও দায়, কি হচ্ছে এসব, ক্ষমতা দেখাবেন না, বিপদ হবে, শিল্পী হিসেবে পরিচিতি বাড়লো আরো, নেগেটিভ মার্কেটিং এ। তবে এরকম হওয়া উচিৎ না। শিল্পি হিসেবে আয়কর দেয় তো, দেশের জন্য করে তো, দেশ তার জন্য করুক।
বিঃ দ্রঃ গল্পের সকল চরিএ কাল্পিক, কাহারো ব্যক্তিগত জীবনের সাথে মিলে গেলে কর্তৃপক্ষ দঃখ প্রকাশ করছে, ইহা নিচক বিনোদন, ধন্যবাদ। “
আবার কবি জাহিদ জগৎ তার ফেসবুকে লিখেছেন-
” দেশটা কতখানি উন্মাদ হয়ে গেছে, ভাবতে পারেন? পুরা চলচ্চিত্র মাধ্যমটাকেই ধ্বংস করে দিলো কতগুলো উন্মাদ মিলে? ”

আবার এক পোস্টে লিখেছেন- ” এই মূঢ় ইতরের দল কেমনে পারে পরিমনি’কে নিয়ে ট্রল করতে? একটা স্বৈরাচার সরকার যে তাঁর মাথা দিয়ে ঢুকে হোগা দিয়ে বের হচ্ছে টেরই পাচ্ছে না এই শালা’র অজ্ঞান হয়ে পরে থাকা জনগণ? ইন্ডিয়া এতোদিন ধরে যে চেষ্টাডা করছে এই দেশের বিনোদন মাধ্যম, নাটক, চিন্তা, সাহিত্য, চলচ্চিত্র ধ্বংস করে দেবার। এই বলদের দল কি বোঝে না যে, এর সাথে জরায়ে আছে পন্য, বাজার, অর্থনীতি, আর সোজা হয়ে দাঁড়াবার নিজস্ব শক্তি? স্রেফ ধ্বংস করে দিলো এই ইতরদের সামাজিক কূদৃষ্টিভঙির উপর দাঁড় করায়ে। পরিমনি ইস্যুতে কোন এক ইতর’রে যদি দেখেন, সামান্যতম ট্রল বা ব্যাঙ্গ করতে, তাঁর চেহারা সিলগালা করে রাখবেন জাতীয় বেঈমান হিসেবে…”
আমাদের আসলে চিন্তা করার শক্তি কোথায়। লারে লাপ্পা করে দিন কটিয়ে দিতেই ব্যাস্ত, হায়রে স্বদেশ …..
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments