নাটোরে আজ ৪ জনের মৃত্যু, নতুন ৮৮ জন আক্রান্ত, লকডাউন মানছে না কেউ
নাটোর নিউজ:
গত ২৪ ঘন্টায় নাটোরে করোনায় ১ জন মারা গেছেন, এদিকে করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃতদের মধ্যে নাটোরের তিনজন রয়েছে। এ নিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় নাটোরের মৃত্যু হল চারজনের। নতুন করে ৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৯১ জনের। সংক্রমনের হার গত দিনের চেয়ে ১৪.২১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪৬.০৭ শতাংশ।
এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত ৬৭৭০ জন। সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ২৭৪২ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৩৯১৮ জন । জেলায় এপর্যন্ত মোট মৃত্যু ১১২ জন।
৩০ জুলাই ২০২১ রামেক হাসপাতাল করোনা আপডেট
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে গেল ২৪ ঘন্টায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৭ জন করোনা পজেটিভ ও বাকি ৬ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর ৬ জন, নাটোরের ৩ জন, নওগাঁর ৩ জন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১ জন রয়েছেন। জুলাই মাসের ১ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত মৃত্যু ৫২১ জন, পজিটিভ ১৬৪ জন।
গেল ২৪ ঘন্টায় রাজশাহী মেডিকেলের ২টি আরটিপিসিআর ল্যাবে ৫৪২ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে এদের মধ্যে ১২৪ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। হাসপাতালের দেয়া তথ্য মতে রাজশাহীতে করোনায় আক্রান্তের হার ২২.৮৭ শতাংশ।
গেল ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে নতুন ৬৫ জন। হাসপাতালটিতে ৫১৩ শয্যার বিপরীতে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪২৫ জন রোগী। ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫০ জন।
নাটোরে লকডাউন মানছে না কেউ
বর্তমান দৃশ্যমান পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে তাতে নাটোরে লকডাউন মানছে না কেউে । শুধু মাত্র যাত্রীবাহী বাস বাদে মানুষ এবং অন্যান্য যানবাহন চলাচল ছিল অনেকটা স্বাভাবিক। শহরের বিভিন্ন মোড়ে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনী চেক পোষ্ট বসিয়ে নানা ভাবে বাধা দিলেও তা কোন কাজে আসছে না। প্রশাসনের তৎপরতাকে জুজুবুড়ির ভয় বলে উল্লেখ করেছেন সচেতন সমাজ এর প্রতিনিধিরা। প্রশাসনিক মামলা সামান্য কিছু ফাইন কে ভয় পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।
জীবিকার প্রয়োজন ছাড়াও অনেকে নানা অযুহাতে অপ্রয়োজনে বের হয়ে আসছে বাড়ি থেকে। রিক্সা ও অটোরিক্সার সাথে সাথে সিএনজি চলাচল ছিল অনেক বেশী। ব্যক্তিগত গাড়িও চলাচল করতে দেখা গেছে। শুধুমাত্র প্রধান সড়কেই যেন লকডাউন মানা হচ্ছে। শুধু জেলা শহরে নয় জেলার প্রতিটি উপজেলাতে একই অবস্থা বিরাজ করছে।
তবে স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসনের একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে রয়েছে। জরিমানা ও মামলার পরিমাণ বাড়লেও মানুষ কিন্তু কথা শুনছে না এ বিষয়ে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ সচেতন মহলের।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, লকডাউন সফল করার জন্য তারা সর্বতোভাবে চেষ্টা করছেন ও বিভিন্ন টিম মাঠে রয়েছে। এই লকডাউনে কোনো প্রয়োজন ছাড়াই মোটরসাইকেল নিয়ে বাহিরে বের হলেই জেলা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে। এছাড়া আমরা আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি।
জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম আহমেদ জানান, লকডাউন সফল করতে ও মানুষকে ঘরে রাখতে আমরা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি আমরা মানুষদেরকে বোঝাচ্ছি উদ্বুদ্ধ করছি ঘরে থাকবার জন্য। তবে আগের থেকে পরিবেশ অনেক উন্নত হয়েছে মানুষজন কথা শুনছে ঘরে থাকছে এটা আসার কথা।